দেহঘড়ি পর্ব-২৩-China Radio International
‘দেহঘড়ি’র এ পর্বে রয়েছে স্বাস্থ্যখাতের একটি প্রতিবেদন, স্বাস্থ্য বুলেটিন, প্রাকৃতিকভাবে রোগ প্রতিরোধ ও রোগ নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আলোচনা ‘ভালো থাকার আছে উপায়’ এবং সাক্ষাৎকারভিত্তিক আয়োজন ‘আপনার ডাক্তার’ ।
## প্রতিবেদন
সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সবাইকে টিকার আওতায় আনার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও মৃত্যু দুটোই বাড়ছে। প্রতি সপ্তাহে আগের সপ্তাহের চেয়ে বেশিসংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে। বাংলাদেশে সংক্রমণ বৃদ্ধির জন্য ভারতের ডেলটা ভাইরাসকে দায়ী করেন স্বাস্থ্যবিদরা। সংক্রমণ প্রতিরোধে মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি সবাইকে টিকার আওতায় আনার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে ২২ জুন থেকে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাকে আশপাশের ৭ জেলা থেকে বিচ্ছিন্ন করা হয়। চলছে না গণ-পরিবহন, কঠোর অবস্থানে আছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। তবে পরিস্থতির উন্নতি কোনও নেই; বরং বেড়েই চলেছে করোনা সংক্রমণ, মৃত্যু ও শনাক্তের হার।
গেল এপ্রিল মাসে দেশে প্রায়দিনই ৯০ জনের বেশি মানুষ মারা যায়। একদিনে শতাধিক মৃত্যুও দেখেছে দেশবাসী। মে মাসে মৃত্যুর সংখ্যা কিছুটা কমে আসলেও জুনের মাঝামাঝি এসে আবারও আগের অবস্থায় চলে যায় করোনা সংক্রমণের হার ও মৃত্যুর সংখ্যা দুটোই।
হঠাৎ করে সংক্রমণ উর্ধ্বমুখী হওয়ার কারণ কি? এমন প্রশ্নের জবাবে ভাইরাস বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক মোশতাক আহমেদ চীন আন্তর্জাতিক বেতারকে বলেন, পরিস্থিতির অবনতির জন্য দায়ী ভারতের ডেলটা ভ্যারিয়েন্ট। করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে এখনই কার্যকর উদ্যোগ নেয়া না গেলে বাংলাদেশের পরিস্থিতি ভারতের মতো ভয়াবহ হওয়ার আশঙ্কা জানান তিনি।
ছবি: অধ্যাপক মোশতাক আহমেদ, ভাইরাস বিশেষজ্ঞ
বাংলাদেশ সরকারের রোগ নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইইডিসিআরের পরামর্শক অধ্যাপক মুশতাক হোসেন জানান, বিভিন্ন জেলায় আরোপ করা নিয়ন্ত্রণ বাস্তবায়ন করা গেলে সংক্রমণ কমে আসবে। প্রতিদিন যারা নতুন করে আক্রান্ত হচ্ছেন তাদের আইসোলেশনে রাখার বিষয়টিকে সবোর্চ্চ গুরত্ব দিতে সরকারের প্রতি আহবান জানান তিনি।
ছবি: অধ্যাপক মুশতাক হোসেন, পরামর্শক, আইইডিসিআর