সামুদ্রিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় কীভাবে সফল হলো চেচিয়াং
এই প্রক্রিয়ায় মৎস্যজীবীরা জাল ফেলে মাছের পাশাপাশি বর্জ্য সংগ্রহ করেন। সেগুলো পরে বাছাই করা হয়।
এখন পর্যন্ত, প্রায় ২হাজার ২৫৪ টন প্লাস্টিক বর্জ্য সংগ্রহ করা হয়েছে, যার ফলে প্রায় ২হাজার ৯৩০ টন কার্বন নির্গমন উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে।
এছাড়া প্রকল্পে উৎপন্ন পণ্যের অর্থনৈতিক মূল্য ৫০ মিলিয়ন ইউয়ান (প্রায় ৭ মিলিয়ন ইউএস ডলার) এর কাছাকাছি পৌঁছেছে, যার একটি অংশ প্রান্তিক জেলে এবং স্যানিটেশন কর্মীদের সহায়তার জন্য পুনঃবিনিয়োগ করা হয়েছে, যা তাদের গড় মাসিক আয় ৮০০ ইউয়ান বৃদ্ধি করেছে।
শুধু মাছধরা জাল নয়, প্লাস্টিক বোতল, ফোমের বোর্ডসহ অন্যান্য বর্জ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।
চাও মিয়াওসিং একজন সামুদ্রিক প্লাস্টিক বর্জ্য সংগ্রাহক। তিনি বলেন, ‘ আমি এই এলাকা প্রায় প্রতিদিন ভিজিট করি, যাতে নিশ্চিত হতে পারি যে পুরোপুরি পরিষ্কার করা হয়েছে। আমি প্রতি টুকরো ময়লা পরিষ্কার করি, কিছুই ফেলে রাখি না। আজকে রাতে জোয়ারের সঙ্গে আরও কিছু ময়লা আসবে। আগামিকাল সেগুলোও তুলে ফেলবো। এটা একটা চলমান চক্র।’
সতর্কভাবে সব বর্জ্য বাছাই করা হয়। যেসব প্লাস্টিক রিসাইকেল করা সম্ভব সেগুলো প্লাস্টিক গ্র্যানুলেশন কারখানায় পাঠানো হয়। সেখানে এগুলো থেকে বিভিন্ন ধরনের প্লাস্টিক তৈরি হয়। যেমন পলিপ্রোপাইলিন, পলিইথিলিন এবং পলিঅ্যামাইড।
এই উপাদান দিয়ে নতুন মাছধরা জাল ও অন্যান্য সামগ্রী তৈরি হয়।
মেরিন প্লাস্টিক থেকে রিসাইকেল করা পলিপ্রোপাইলিনের বাজার প্রতি টন ২৪ হাজার ইউয়ান। অন্যদিকে ভার্জিন ম্যাটেরিয়ালের দর প্রতি টন ৮ হাজার ইউয়ান।
চেচিয়াং ভিশন ব্লু টেকনোলজি কো.লিমিটেডের ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অপারেশন ম্যানেজার ফাং মিন বলেন, ‘আমাদের সংগ্রহ, পরিবহন এবং নিষ্পত্তির প্রক্রিয়া জুড়ে, আমরা অত্যাধুনিক স্মার্ট যন্ত্রপাতি ব্যবহার করি যা পায়ের ছাপ রেকর্ড করে এবং ছবি ধারণ করে। ব্লকচেইন প্রযুক্তি এবং ডিজিটাল ট্রেসিং ব্যবহার করে, আমরা ওবিপি (ওশান বাউন্ড প্লাস্টিক) সার্টিফিকেশন পাই। একবার প্রত্যায়িত হলে, শীর্ষস্থানীয় আন্তর্জাতিক কম্পানিগুলি আমাদের সামুদ্রিক প্লাস্টিকের জন্য উচ্চ মূল্য দেয়।’