বাংলা

নতুন যুগে চীন-মার্কিন সম্পর্ক উন্নয়নের পথ অন্বেষণ করা উচিত

CMGPublished: 2024-11-12 13:56:42
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

পারস্পরিক শ্রদ্ধা চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মৌলিক নীতি। চীন ও যুক্তরাষ্ট্র দুটি প্রধান দেশ- যার ইতিহাস, সংস্কৃতি, সামাজিক ব্যবস্থা ও উন্নয়নের পথে অতীতে ও বর্তমানে পার্থক্য রয়েছে এবং ভবিষ্যতেও পার্থক্য থাকবে। উভয় পক্ষের একে অপরের সামাজিক ব্যবস্থা এবং একে অপরের নির্বাচিত উন্নয়নের পথকে সম্মান করা উচিত। চীনের কমিউনিস্ট পার্টির নেতৃত্বে, চীনা জনগণ ব্যাপকভাবে চীনের বৈশিষ্ট্যময় আধুনিকীকরণের অগ্রগতি এবং মানবজাতির জন্য একটি অভিন্ন কল্যাণের সমাজ গড়ে তুলছে। ১৪০ কোটি মানুষের পছন্দ এবং প্রচেষ্টাকে সম্মান করা উচিত। সান ফ্রান্সিসকোতে যখন চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপ্রধানরা মিলিত হন, তখন যুক্তরাষ্ট্র চীন-মার্কিন সম্পর্কের দিকনির্দেশনামূলক নীতির মধ্যে পারস্পরিক সম্মানের বিষয়ে সম্মত হন।

দুই দেশকে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের নীতি মেনে চলতে হবে। আন্তর্জাতিক সমাজ আশা করে যে, চীন-মার্কিন সম্পর্ক স্থিতিশীল থাকবে এবং চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সংঘাত ও সংঘর্ষ প্রত্যাশিত না। প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং উল্লেখ করেছেন যে, দুটি প্রধান দেশ হিসেবে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের সংঘাতের পরিণতি বিশ্ব সহ্য করতে পারবে না। যুক্তরাষ্ট্রও বারবার বলেছে যে, চীনের সঙ্গে তার কোনো সংঘাতের ইচ্ছা নেই। চীন ও যুক্তরাষ্ট্রকে অবশ্যই একটি সঠিক বোঝাপড়া গড়ে তুলতে হবে এবং একে অপরকে প্রতিপক্ষ বা চ্যালেঞ্জ হিসেবে বিবেচনা করা যাবে না।

জয়-জয় সহযোগিতা চীন-মার্কিন সম্পর্কের ভিত্তি। বৃহত্তম উন্নয়নশীল দেশ এবং বৃহত্তম উন্নত দেশ হিসেবে, চীন ও যুক্তরাষ্ট্র অত্যন্ত পরিপূরক এবং সহযোগিতার জন্য বিস্তৃত স্থান রয়েছে। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই, আর্থিক সঙ্কটে সাড়া দেওয়া, জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত প্যারিস চুক্তি অর্জনে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য উভয় পক্ষ সুষ্ঠুভাবে একসঙ্গে কাজ করেছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে দুই দেশের অভিন্ন স্বার্থ কমেনি বরং বেড়েছে। অর্থনীতি ও বাণিজ্য, জ্বালানি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, শিক্ষা এবং মানবিকতার মতো অনেক খাতে সহযোগিতার জন্য উভয় পক্ষের বিস্তৃত জায়গা রয়েছে এবং অভিন্ন দায়িত্ব ভাগাভাগি করে নিয়েছে। প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং ট্রাম্পকে তার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার অভিনন্দনবার্তায় উল্লেখ করেছিলেন যে, ইতিহাস আমাদের দেখিয়েছে যে, চীন ও যুক্তরাষ্ট্র উভয়ই সহযোগিতা থেকে উপকৃত হবে এবং সংঘর্ষ হলে হেরে যাবে। সহযোগিতা উভয় পক্ষের একমাত্র সঠিক সিদ্ধান্ত। চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের নিজস্ব উন্নয়ন এবং অভিন্ন সমৃদ্ধির জন্য বিশ্ব যথেষ্ট বড়।

পারস্পরিক সম্মান, শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান, এবং জয়-জয় সহযোগিতা হল সঠিক দিকনির্দেশনা চীন তার নিজের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্রে কে ক্ষমতায় রয়েছে- তার উপর নির্ভর করে পরিবর্তন হয়নি এবং হবে না। আশা করা যায় যে, নতুন মার্কিন সরকার চীনের সঙ্গে হাত মেলাতে পারে এবং দুই দেশের জনগণ এবং বিশ্বের জনগণের জন্য একটি ভালো ভবিষ্যত গঠন করার চেষ্টা করবে।

首页上一页12 2

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn