চলতি প্রসঙ্গ: ভারত-চীন সীমান্ত টহল চুক্তি; অর্থনৈতিক সহযোগিতা পুনরুদ্ধারের আশা
অক্টোবর ২৯: চার বছরের সীমান্ত-উত্তেজনা এবং অর্থনৈতিক সম্পর্কে স্থবিরতার পর, ভারত ও চীন অবশেষে হিমালয়ের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ লাইন (এলওসি) বরাবর টহলব্যবস্থা বিষয়ে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এই চুক্তিটি কেবল সীমান্ত-সংঘাত নিরসনে আশার সঞ্চার করেনি, বরং দু’দেশের অর্থনৈতিক সহযোগিতায় নতুন প্রাণশক্তিও সঞ্চার করবে বলে আশা করা হচ্ছে। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক স্বাভাবিককরণের পথেও এটি হতে পারে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।
‘সীমান্তের উত্তেজনা দীর্ঘকাল ধরেই দুই দেশের অর্থনীতিতে গভীর প্রভাব ফেলেছে। বাণিজ্যের ক্ষেত্রে সীমিত বিনিময় এবং কঠোর ভিসানীতি সমৃদ্ধ আন্তঃসীমান্ত বাণিজ্যিক কার্যক্রম করেছে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। নফিসুল কিউ জিলানী এ সংকটের একজন ভুক্তভোগী। তিনি ম্যান্ডারিন ভাষা জানা একজন উদ্যোক্তা, যার প্রদর্শনী সংস্থা ভারতে ট্রেড শো-তে চীনা কোম্পানিগুলোকে সহায়তা করে সাফল্য অর্জন করেছে। তিনি, অন্য অনেকের মতো, ভিসা বিধিনিষেধ ও কূটনৈতিক স্থবিরতার শিকার। তার ব্যবসায বলতে গেলে পঙ্গু হয়ে গেছে। চীনে চা রফতানি করেন জিতেন্দার চান্দাক। ভারত ও চীনের মধ্যে সম্পর্কের অবনতিতে তিনি ও তার ব্যবসা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়। মিস্টার জিলানির মতো তাঁর ব্যবসাও ভিসা ও ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার কারণে কঠোরভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। মিস্টার চান্দাক ভারতে যেসব চীনা কোম্পানিকে সাহায্য করতেন, সেগুলোতেও শ্রমিক ছাটাই হয়। বস্তুত, দু’দেশের সীমান্ত-সংঘাতের কারণে সৃষ্ট জটিলতার শিকার হয় এমন অনেক ছোট ও মাঝারি আকারের উদ্যোগ ও উদ্যোক্তা।’
সীমান্তে টহল চুক্তি স্বাক্ষর এ ধরনের সমস্যা সমাধানের পথে একটি বড় টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে গণ্য হতে পারে। সীমান্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায়, শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে বিনিময় ধীরে ধীরে পুনরায় বাড়তে শুরু করবে এবং ভিসানীতিও শিথিল হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এটি নিঃসন্দেহে জিলানি ও চান্দাকের মতো উদ্যোক্তাদের জন্য একটি বড় ইতিবাচক সংবাদ। তাঁরা এখন কেবল তাদের ব্যবসা পুনরায় চালু করার সুযোগ পাবেন, তা নয়, বরং চীনা অংশীদারদের সাথে নিজেদের সম্পর্ক জোরদার করার সুযোগও তাঁরা পাবেন।