‘একসাথে আধুনিকীকরণ অগ্রগতি অর্জন করা’ চীন-আফ্রিকা সহযোগিতা বিশ্বের জন্য উপহার
৪ থেকে ৬ সেপ্টেম্বর বেইজিংয়ে চীন-আফ্রিকা সহযোগিতা শীর্ষ ফোরাম অনুষ্ঠিত হবে। চীন এবং আফ্রিকার ৫০টিরও বেশ দেশের শীর্ষনেতা ও প্রতিনিধিরা বেইজিংয়ে মিলিত হবেন।
এই বছরের ফোরামের প্রতিপাদ্য হল, “আধুনিকীকরণের অগ্রগতি এবং চীন-আফ্রিকা অভিন্ন কল্যাণের উচ্চ-স্তরের কমিউনিটি গড়ে তোলার জন্য একসাথে কাজ করা।” এটি থেকে দেখা যায় যে প্রতিটি দেশে আধুনিকীকরণের পথ অন্বেষণ করা এই ফোরামের একটি মূল বিষয়বস্তু। চীন হল বৃহত্তম উন্নয়নশীল দেশ, যেখানে আফ্রিকা মহাদেশের মধ্যে উন্নয়নশীল দেশগুলোর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। উভয়পক্ষই স্বাধীনতা, ন্যায্যতা এবং ন্যায়বিচার অর্জনের আকাঙ্ক্ষা করে এবং আধুনিকায়নের মাধ্যমে নিজ নিজ দেশের মানুষের জন্য একটি উন্নত জীবন অর্জনের আশা করে।
চীন, আফ্রিকান দেশগুলো উন্নয়নের চ্যালেঞ্জ ও অসুবিধাগুলোর মুখোমুখি হয়েছিল তাই সে সম্পর্কে ভালোভাবে জানে। “আফ্রিকার চাহিদার যত্ন নেয়া এবং অসুবিধাগুলি সমাধান করা” চীন-আফ্রিকা সহযোগিতা সম্পর্কে অনেক আফ্রিকানের সাধারণ অনুভূতি।
নতুন যুগের প্রেক্ষাপটে, প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং বিশ্ব উন্নয়ন উদ্যোগ, বৈশ্বিক নিরাপত্তা উদ্যোগ এবং বৈশ্বিক সভ্যতা উদ্যোগের প্রস্তাব করেছেন, যা আফ্রিকান দেশগুলোর কাছ থেকে ব্যাপক সমর্থন পেয়েছে। যার মাধ্যমে চীন ও আফ্রিকার অভিন্ন কল্যাণের কমিউনিটির উন্নয়ন নতুন গতি পেয়েছে। শুরু থেকে, চীন-আফ্রিকা সহযোগিতা অর্থনীতি ও বাণিজ্য, দারিদ্র্য বিমোচন এবং উন্নয়নের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করেছিল। ধীরে ধীরে তা দেশ পরিচালনা, জনগণের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময়, শান্তি ও নিরাপত্তা এবং স্বাস্থ্য অর্জনসহ আরও বাস্তব সহযোগিতার ক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে।
আজ, আফ্রিকা মহাদেশটি আধুনিকীকরণের পথ ও মডেল অন্বেষণের একটি জটিল সময়ের মধ্যে রয়েছে। অনেক আফ্রিকান নেতা এই শীর্ষ সম্মেলন আয়োজনের কয়েকদিন আগে চীনে এসেছেন এবং চীনের আধুনিকীকরণ প্রক্রিয়াকে একাধিক দিক থেকে বোঝার জন্য স্থানীয় প্রদেশ ও শহরগুলো পরিদর্শন করেছেন।