বাংলা

সামুদ্রিক পরিবেশ রক্ষায় চীনের ভূমিকা

CMGPublished: 2024-07-15 11:03:56
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

জুলাই ১৫: পৃথিবীপৃষ্ঠের ক্ষেত্রফলের প্রায় ৭১ শতাংশজুড়ে আছে সাগর-মহাসাগর। মানবসভ্যতার জন্য এ সাগর-মহাসাগর তথা পানি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর তাই, চীন বরাবরই সামুদ্রিক পরিবেশ সুরক্ষার ওপর যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে আসছে। এমনই প্রেক্ষাপটে, সম্প্রতি ‘চীনের সামুদ্রিক পরিবেশ সুরক্ষা’ শীর্ষক শ্বেতপত্র প্রকাশিত হয়।

শ্বেতপত্রে পদ্ধতিগতভাবে মানুষ ও সমুদ্রের মধ্যে একটি সুরেলা সহাবস্থানের পরিবেশ গড়ে তুলতে চীনের নীতিগত ধারণা তুলে ধরা হয়। পাশাপাশি, এতে রয়েছে, সামুদ্রিক পরিবেশ সুরক্ষার পরিকল্পনা, সমুদ্রের সবুজ ও নিম্ন কার্বন উন্নয়নের মান বৃদ্ধি, এবং এক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার বিভিন্ন দিক নিয়ে পর্যালোচনা।

সামুদ্রিক পরিবেশ ভালো না মন্দ, তা বোঝা যায় সমুদ্রসৈকতে হাঁটলে। যদি দেখা যায়, সমুদ্রসৈকত ও সমুদ্রের পানি পরিষ্কার, সামুদ্রিক পাখির আনাগোনা যথেষ্ট, আছে সুন্দর উপকূলীয় জলাভূমি—তবে বুঝতে হবে যে, পরিবেশ ভালো। শ্বেতপত্রটি প্রকাশ উপলক্ষ্যে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে চীনের পরিবেশ উপমন্ত্রী কুও ফাং একটি রঙিন রুমাল দেখান। তিনি বলেন, রুমালটি কুয়াংচৌ শহরের নানশা এলাকার সৈকত থেকে সংগৃহীত প্লাস্টিকের বোতল থেকে তৈরি। এভাবেই সুন্দর সৈকত গড়ে তোলার চেষ্টা করে যাচ্ছে চীন।

সমুদ্রের অভ্যন্তরের প্রাকৃতিক ব্যবস্থা আরও গুরুত্বপূর্ণ। সমুদ্রে আছে প্রবাল, সামুদ্রিক প্রাণী, শৈবাল, সিবেড, ইত্যাদি। শ্বেতপত্রটিতে বলা হয়, আমাদের দেশ বিশ্বের প্রথম দেশ, যেটি পরিবেশগত সুরক্ষার লাল লাইন নির্ধারণ করে তা বাস্তবায়ন করেছে। চীনে ৩৫২টি সামুদ্রিক প্রাকৃতিক সংরক্ষণ এলাকা আছে। সংরক্ষিত সামুদ্রিক এলাকার আয়তন প্রায় ৯৩.৩ বর্গকিলোমিটার। ৫টি সামুদ্রিক জাতীয় পার্ক নির্মাণের পরিকল্পনাও আছে চীনের। ইতোমধ্যেই চীনের সমুদ্রে একটি সম্পূর্ণ সামুদ্রিক সুরক্ষিত এলাকাব্যবস্থা প্রাথমিকভাবে গড়ে উঠেছে।

12全文 2 下一页

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn