চীনের বৈদ্যুতিক গাড়ির ওপর ইইউ’র অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ
ইউরোপীয় কমিশন সম্প্রতি এক বিবৃতিতে বলেছে, আগামী ৪ জুলাই থেকে চীন থেকে আমদানিকৃত বৈদ্যুতিক যানবাহনের ওপর অস্থায়ী কাউন্টারভেলিং শুল্ক আরোপ করা হবে। ইউরোপীয় কমিশনের এই পদক্ষেপের বিরোধিতা করেছেন খোদ ইউরোপের অনেক দেশের বহু রাজনীতিক ও ব্যবসায়ী। তাঁরা বিশ্বাস করেন যে, এ সিদ্ধান্ত ইউরোপীয় অটোমোবাইল শিল্প ও ভোক্তাদের স্বার্থের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয়; এতে সংশ্লিষ্ট শিল্পে উদ্ভাবন ও বিকাশ বাধাগ্রস্ত হবে।
চীনের বৈদ্যুতিক যানবাহনের ওপর ইইউ-এর শুল্ক বৃদ্ধি আসলে গ্রাহকদের স্বার্থকে নষ্ট করছে। চীনা ব্র্যান্ডের বৈদ্যুতিক গাড়িগুলো তাদের প্রতিযোগিতামূলক মূল্য, উচ্চ-মানের কর্মক্ষমতা ও নিখুঁত পরিষেবার কারণে ইইউ-তে ভালো বিক্রি হচ্ছে। শুল্ক বৃদ্ধির কারণে, ইইউ-র গ্রাহকদের এখন চীনের বৈদ্যুতিক গাড়ি কিনতে বেশি পয়সা ব্যয় করতে হবে।
সম্প্রতি জার্মানির কিয়েল ইনস্টিটিউট ফর ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক্স-এর প্রকাশিত একটি গবেষণা-প্রতিবেদন থেকে দেখা যায় যে, ইইউ যদি চীন থেকে আমদানিকৃত বৈদ্যুতিক যানবাহনের ওপর শুল্ক আরোপ করে, তাহলে স্থানীয় গ্রাহকদের জন্য গাড়ি কেনার খরচ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে৷ এমনকি, ইইউ-র মধ্যে এ ধরনের গাড়ির উত্পাদন বাড়িয়ে এবং বৈদ্যুতিক গাড়ির রফতানি কমিয়েও কোনো কাজ হবে না।
ইউরোপীয় কনজিউমার অ্যাসোসিয়েশন সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, ইইউ যদি চীন থেকে আমদানি করা বৈদ্যুতিক গাড়ির ওপর শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্তে অটল থাকে, তাহলে বৈদ্যুতিক গাড়ির দাম বাড়তে পারে।
ভোক্তা সংস্থাগুলোও এই মর্মে সতর্ক করেছে যে, ইউরোপের সবুজ রূপান্তরের লক্ষ্য অর্জন প্রত্যাশার চেয়ে বেশি সময় নিতে পারে। কারণ, চীনের বৈদ্যুতিক গাড়ির ওপর নতুন শুল্ক আরোপের পর ইইউ-তে বৈদ্যুতিক গাড়ির দাম বাড়তে পারে। এই শুল্ক ১৭.৪ শতাংশ থেকে ৩৮.১ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে। ইতোমধ্যে আরোপিত ১০ শতাংশ শুল্ক তো থাকছেই।