চলতি প্রসঙ্গ: বিশ্বে চীনা ব্র্যান্ডের সাফল্য ও চ্যালেঞ্জ
এ ছাড়া, বিশ্বের বাজারে চীনের উচ্চ-গতির রেল এবং ফটোভোলটাইক পণ্যগুলোর অসামান্য সাফল্যও উল্লেখযোগ্য। বিগত ২০ বছরে চীনের উচ্চ-গতির রেলের দ্রুত বিকাশ চীনের ‘বুদ্ধিমান উত্পাদন’ প্রত্যক্ষ করেছে। ২০২৪ সালের এপ্রিল পর্যন্ত, চীনের উচ্চ-গতির রেলের মোট দৈর্ঘ্য ছিল ৩৮আটত্রিশ হাজার কিলোমিটার, যা বিশ্বের অপারেটিং মাইলেজের ৭০ শতাংশ। চীনের ফটোভোলটাইক পণ্যের রপ্তানি বহু বছর ধরে বিশ্বে প্রথম স্থান অধিকার করে আছে, যা বৈশ্বিক পরিচ্ছন্ন জ্বালানির উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদানও রাখছে।
এটা স্পষ্ট যে, চীনা ব্র্যান্ডগুলো ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতামূলক ও প্রভাবশালী শক্তির প্রদর্শন দেখিয়েছে। যাই হোক, চীনা ব্র্যান্ডগুলো আন্তর্জাতিক বাজারে অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। চীনা ব্র্যান্ডগুলোকে এখনও বিশ্বব্যাপী গ্রাহকদের চাহিদা আরও ভালোভাবে মেটাতে কাজ করতে হবে।
‘প্রথমত, আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা ক্রমশ তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। তীব্র আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য চীনা ব্র্যান্ডগুলোকে ক্রমাগত তাদের গুণগত মান, পরিষেবা এবং উদ্ভাবনী ক্ষমতা উন্নত করতে হবে। দ্বিতীয়ত, মেধাস্বত্ব রক্ষা সমস্যাও আন্তর্জাতিক বাজারে চীনা ব্র্যান্ডগুলোর সম্মুখীন এক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। মেধাস্বত্ব রক্ষা সম্পর্কে সচেতনতা জোরদার করা এবং মেধাস্বত্ব রক্ষাসংক্রান্ত ক্ষমতা উন্নত করাই হল আন্তর্জাতিক বাজারে পা দেওয়া চীনা ব্র্যান্ডগুলোর একমাত্র উপায়। এবারের চীনা ব্র্যান্ড দিবস উপলক্ষ্যে আমরা আনন্দের সাথে দেখেছি যে, আরও বেশি সংখ্যক চীনা ব্র্যান্ড আন্তর্জাতিক উন্নয়নের দিকে মনোনিবেশ করতে শুরু করেছে, আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডগুলোর সাথে সহযোগিতা ও বিনিময়ের মাধ্যমে চীনা ব্র্যান্ডের প্রতিযোগিতামূলক শক্তি ক্রমশ বাড়িয়ে যাচ্ছে। এটি কেবল যে চীনা ব্র্যান্ডের আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তি সৃষ্টি করতে সহায়ক, তা নয়; বরং, চীনের অর্থনীতির টেকসই উন্নয়নে নতুন চালিকাশক্তিও যুগিয়েছে।
ভবিষ্যতে, আরও বেশি চীনা ব্র্যান্ড বিশ্ব মঞ্চে প্রবেশ করবে বলে আশা করি। চীনা প্রতিষ্ঠানগুলো বিশ্বের ভোক্তাদের কাছে আরও বেশি শ্রেষ্ঠ পণ্য ও পরিষেবা সরবরাহ করতে সক্ষম হবে বলে অনেকে বিশ্বাসও করেন।