বাংলা

আজকের টপিক: ব্লিঙ্কেনের চীন সফর কেমন ছিল?

CMGPublished: 2024-04-29 18:25:25
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রায় অর্ধবছর আগে ব্লিঙ্কেন চীন সফর করেন। এর প্রধান কারণ হল যে বাইডেন প্রশাসনকে নির্বাচনের আগে তার চীন সংক্রান্ত নীতিতে কিছু নির্দিষ্ট স্বার্থ ও লক্ষ্যকে এগিয়ে নিতে হবে। রাশিয়া এবং ইউক্রেন, মধ্যপ্রাচ্য, তাইওয়ান প্রণালী, দক্ষিণ চীন সাগর, কোরিয়ান উপদ্বীপ, ফেন্টানাইল এবং অন্যান্য সমস্যাসহ ব্লিঙ্কেনের কাছে তার মূল আলোচ্য বিষয়গুলোর একটি দীর্ঘ তালিকা রয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই সব বিষয়ে চীনের কাছে তাদের উদ্বেগ উত্থাপন করেছে এবং আশা করেছিল যে চীন তাদের স্বার্থ ও প্রয়োজনে সহযোগিতা করতে পারে।

চীন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সহযোগিতা শুধুমাত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একতরফা স্বল্পমেয়াদী স্বার্থের লক্ষ্য পূরণে পরিচালিত হতে পারে না, তা অবশ্যই চীন-মার্কিন সম্পর্কের বৃহত্তর কাঠামোর মধ্যে বিবেচনা করতে হবে।

গত বছরের জুনে ব্লিঙ্কেনের চীন সফরের আগে, যুক্তরাষ্ট্র-জাপান-ফিলিপাইন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের প্রথম ত্রিপক্ষীয় বৈঠক হয়েছিল। এ বছর তার চীন সফরের আগে যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও ফিলিপাইন তিন দেশের মধ্যে প্রথম শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। উভয় বৈঠকে পূর্ব চীন সাগর, দক্ষিণ চীন সাগর এবং তাইওয়ান প্রণালীর মতো বিষয়গুলো জড়িত ছিল। বাইডেন প্রশাসন এই পদক্ষেপগুলো ব্যবহার করে ব্লিঙ্কেনের চীন সফরের জন্য কিছু সুবিধা পেতে এবং চীনের বিরুদ্ধে খেলায় মার্কিন অবস্থানকে শক্তিশালী করার আশা করেছিল। কিন্তু চীনের দৃষ্টিকোণ থেকে, এই পদক্ষেপগুলো কেবল দেখায় যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চীনের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নে আন্তরিক নয়। যুক্তরাষ্ট্র দাবি করে যে তারা চীনকে দমন করতে চায় না বা চীনের বিরুদ্ধে মিত্রচক্র গঠন করতে চায় না। তবে যুক্তরাষ্ট্র যা করেছে তা আসলে তাদের কথার ঠিক বিপরীত। যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপগুলো চীনের কাছে তার আন্তরিকতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তোলে। তাই যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগের বিষয়ে তাদের প্রত্যাশিত পদক্ষেপ নেওয়াও চীনের পক্ষে কঠিন।

প্রেসিডেন্ট সি, ব্লিঙ্কেনের সাথে সাক্ষাতের সময় উল্লেখ করেন যে, চীন একটি আত্মবিশ্বাসী, উন্মুক্ত, সমৃদ্ধ এবং বিকশিত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দেখতে চায় এবং আশা করে যে যুক্তরাষ্ট্রও চীনের উন্নয়নকে ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখবে। শুধুমাত্র ‘প্রথম বোতাম’ সঠিক লাগালে, তখনই চীন-মার্কিন সম্পর্ক সত্যিকার অর্থে স্থিতিশীল, ভালো হতে পারে এবং এগিয়ে যেতে পারে।

首页上一页12 2

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn