আজকের টপিক: ব্লিঙ্কেনের চীন সফর কেমন ছিল?
এক বছরের মধ্যে দু’বার চীন সফর। ২৪ থেকে ২৬ এপ্রিল মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন আবারও চীন সফর করেন। তিন দিনের মধ্যে, তিনি সাংহাই এবং বেইজিং সফর করেন এবং চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই’র সাথে আলোচনা করেন। তাহলে এবার দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা কেমন ছিল?
চীন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দুই রাষ্ট্রপ্রধানের ‘সান ফ্রান্সিসকো ভিশন’ বাস্তবায়নের দিক দিয়ে দেখলে, এই সফরের কিছু ইতিবাচক ফলাফল অর্জিত হয়েছে। উভয়পক্ষের মধ্যে অর্জিত ৫টি ঐকমত্য, সান ফ্রান্সিসকোতে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে ঐকমত্যের ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে। কিন্তু ব্লিঙ্কেনের চীন সফরের আগে প্রকাশিত তালিকা থেকে বিচার করলে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার প্রত্যাশিত লক্ষ্য অর্জন করতে পারেনি।
প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং ব্লিঙ্কেনের সাথে সাক্ষাতের সময় উল্লেখ করেন যে, শুধুমাত্র ‘প্রথম বোতাম’ ঠিক মত লাগালে চীন-মার্কিন সম্পর্ক সত্যিকার অর্থে স্থিতিশীল ও ভালো হতে পারে এবং এগিয়ে যেতে পারে। ‘প্রথম বোতাম’ অর্থাৎ পরস্পরের সঠিক বোঝাপড়া। চীন পারস্পরিক শ্রদ্ধা, শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান এবং জয়-জয় সহযোগিতা মেনে চলে। কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখনও চীনকে তার প্রধান কৌশলগত প্রতিদ্বন্দ্বী এবং সবচেয়ে গুরুতর ভূ-রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ হিসাবে বিবেচনা করে। তাহলে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক কীভাবে ভালো হওয়ার দিকে যেতে পারে?
ফুতান ইউনিভার্সিটির ইনস্টিটিউট অফ ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের ডিন এবং সেন্টার ফর আমেরিকান স্টাডিজের পরিচালক অধ্যাপক উ শিন বো মনে করেন যে চীন-মার্কিন সম্পর্ক ভালোভাবে বিকশিত হতে পারে কিনা তা নির্ভর করে যুক্তরাষ্ট্র চীনকে প্রতিদ্বন্দ্বী, প্রতিপক্ষ হিসেবে দেখে নাকি অংশীদার হিসেবে দেখে, তার ওপর। যুক্তরাষ্ট্রের চীন সম্পর্কে তার ভুল ধারণা চিহ্নিত করে সংশোধন করার সাহস থাকতে হবে।