আজকের টপিক: চীনে নতুন জ্বালানিচালিত গাড়ি বিশ্বের ‘সবুজ যাতায়াতের’ একটি নতুন অধ্যায়ের নেতৃত্ব দেবে
‘ধারাবাহিক নীতি নির্ধারণের মাধ্যমে নতুন জ্বালানি শক্তির গাড়ি বাজারের দ্রুত বিকাশের জন্য একটি শক্তিশালী নিশ্চয়তা দিয়েছে সরকার। গাড়ি ক্রয়ের ভর্তুকি এবং কর সুবিধাসহ নীতিগত ব্যবস্থাগুলো কার্যকরভাবে ভোক্তাদের নতুন জ্বালানিচালিত গাড়ি কেনার ব্যয় হ্রাস করেছে, যা বাজারের চাহিদা উত্সাহিত করেছে। পাশাপাশি, ব্যাপকভাবে চার্জিং অবকাঠামো নির্মাণকাজ এগিয়ে নিয়েছে সরকার এবং নতুন জ্বালানিচালিত গাড়ি চার্জিংয়ের কঠিন সমস্যা সমাধান করা হয়েছে। এটি নতুন জ্বালানিচালিত গাড়ির জনপ্রিয়তার জন্য সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। নীতিগত পর্যায়ের সমর্থন ছাড়া, নতুন জ্বালানিচালিত গাড়ির প্রযুক্তিগত গবেষণা এবং শিল্পের নব্যতাপ্রবর্তন খাতে গুরুত্বর্পূণ ভূমিকাও পালন করেছে চীন সরকার। স্বতন্ত্র উদ্ভাবনী দক্ষতা জোরদার করতে শিল্পপ্রতিষ্ঠানকে উত্সাহ দেয় চীন সরকার, ব্যাটারি প্রযুক্তি, ড্রাইভ সিস্টেম এবং বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন ড্রাইভিংসহ বিভিন্ন খাতে বৈদ্যুতিক গাড়ির অগ্রগতি অর্জন এগিয়ে গেছে। তা ছাড়া, ইতিবাচকভাবে শিল্প খাতের গবেষণা ও সহযোগিতামূলক প্ল্যাটফর্ম সৃষ্টিও করেছে সরকার, এটি বৈদ্যুতিক গাড়ির শিল্প চেইনের সংশ্লিষ্ট শিল্পপ্রতিষ্ঠানের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ জোরদার করেছে, নিঃসন্দেহে এই শিল্পের দ্রুত উন্নতি হয়েছে। ২০১৫ সাল থেকে চীনের বৈদ্যুতিক গাড়ির উত্পাদন ও বিক্রি টানা নয় বছর ধরে বিশ্বে প্রথম স্থানে রয়েছে। ২০২৩ সালে চীনের বৈদ্যুতিক গাড়ির বার্ষিক উত্পাদন ও বিক্রির পরিমাণ যথাক্রমে ৯৫ লাখ ৮৭ হাজার এবং ৯৪ লাখ ৯৫ হাজার; যা ২০২২ সালের তুলনায় ৩৫.৮ ও ৩৭.৯ শতাংশ বেশি। এমন কি, চীনের গাড়ির রপ্তানির মোট পরিমাণ জাপানকে ছাড়িয়ে বিশ্বে প্রথম রপ্তানিকারক দেশে পরিণত হয়েছে। চীনের বৈদ্যুতিক গাড়ি ইতোমধ্যেই বিশ্বের অনেক দেশ ও অঞ্চলে রপ্তানি হয়েছে, যা চীনের রপ্তানির জন্য একটি নতুন চালিকাশক্তি হয়ে উঠেছে।’