এআই-এর বৈশ্বিক উন্নয়ন—সহযোগিতা নাকি বিচ্ছিন্নতা?
আজকের বিশ্বায়ন এবং দ্রুত প্রযুক্তিগত বিকাশের যুগে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) সামাজিক অগ্রগতি এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি প্রচারের মূল শক্তি হয়ে উঠেছে। সেই সঙ্গে এআই প্রযুক্তির দ্রুত বিকাশ ও ব্যাপক প্রয়োগ বেশ কিছু শাসন ও নৈতিক চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করেছে। এজন্য আন্তর্জাতিক সমাজকে এআই প্রযুক্তির সুস্থ বিকাশ ও ন্যায্য ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য উপযুক্ত নিয়ম ও মান প্রণয়নে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
সম্প্রতি, যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় একটি প্রস্তাব উত্থাপন করেছে, যাতে ক্লাউড পরিষেবা প্রদানকারী যেমন অ্যামাজন, মাইক্রসফট এবং গুগোলের প্ল্যাটফর্মে এআই অ্যাপ্লিকেশন বিকাশকারী বিদেশি গ্রাহকদের তথ্য তদন্ত করার জন্য প্রকাশ করা যায়। এই প্রস্তাবটি ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি করেছে। প্রস্তাবের অধীনে, মার্কিন সরকার বিদেশি গ্রাহকদের নাম এবং আইপি ঠিকানার মতো বিশদ বিবরণ দিতে সক্ষম হবে এবং বিদেশি কোম্পানির ডেটা সেন্টার এবং সার্ভারগুলিতে অ্যাক্সেস সীমিত করতে পারবে, যা এআই প্রশিক্ষণ ও হোস্টিংয়ের জন্য ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ।
এই পন্থা গত ২১ মে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ কর্তৃক গৃহীত এআই সংক্রান্ত খসড়া প্রস্তাবের চেতনার পরিপন্থী। জাতিসংঘের খসড়া প্রস্তাব মানবাধিকারের সম্মান, গোপনীয়তা রক্ষা, স্বচ্ছতা এবং ব্যাখ্যাযোগ্যতা নিশ্চিত করা ইত্যাদি সহ এআই উন্নয়ন শাসনে অনুসরণ করা উচিত এমন নৈতিক নীতির উপর জোর দেয়। এসময়, প্রস্তাবটি আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এবং বিনিময়ের পক্ষে সমর্থন করে, দেশগুলিকে সর্বোত্তম অনুশীলন ভাগাভাগি করা, নীতি ও মান প্রণয়ন সমন্বয় করা এবং এআই প্রযুক্তির বিশ্বব্যাপী শাসন যৌথভাবে প্রচার করায় উত্সাহিত করে।