বাংলা

বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের সাথে শিল্পের উন্নয়ন: নতুন মানের উত্পাদন শক্তি

CMGPublished: 2024-02-26 18:06:55
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

আমরা যদি মানবজাতির ইতিহাসের দিকে একটু ফিরে তাকাই, তাহলে বুঝতে পারি যে একটি দেশ, একটি জাতির উন্নয়নের বাস্তবায়নে সবসময় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নয়ন ও উদ্ভাবনের উপর নির্ভর করে।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকে প্রথম উত্পাদন শক্তি হিসেবে মনে করি। সম্প্রতি চীনে প্রচলিত আছে নতুন একটি শব্দ, তা হল নতুন মানের উত্পাদন শক্তি। চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং গত বছরে হেই লং চিয়াং প্রদেশে পরিদর্শনকালে প্রথম বারের মতো এ শব্দ উল্লেখ করেন এবং সম্প্রতি প্রকাশিত চীনের প্রাদেশিক সরকারি বার্ষিক কর্মপ্রতিবেদনে এ শব্দও অনেক বার উল্লেখ করা হয়েছে। তাহলে নতুন মানের উত্পাদন শক্তি মানে কী, আমাদের সাধারণ মানুষের জীবনের সঙ্গে তার কী সম্পর্ক রয়েছে?

শুরুতে একটি কথা, নতুন মানের উত্পাদন শক্তি

মানে বিশাল সম্ভাবনাযুক্ত এমন মৌলিক বিজ্ঞান, অত্যাধুনিক প্রযুক্তি এবং প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন। তার মানে এমন প্রযুক্তি আমাদের উত্পাদনের পদ্ধতি জীবিযাপনের পদ্ধতি এবং চিন্তাভাবনা পুরোপুরিভাবে পরিবর্তন করে এবং অর্থনীতি ও সমাজে গভীর ও স্থায়ী সংস্কার সাধন করে।

এই কথাগুলো বোঝা কী একটু কঠিন? তাহলে, কিছু উদাহরণ দিচ্ছি। শুরুতে কিছু শিল্পে নতুন প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনকে নতুন মানের উত্পাদন শক্তি বলে অভিহিত করা হয়। যেমন নতুন প্রজন্মের তথ্য প্রযুক্তি, নতুন জ্বালানি, নতুন উপাদান, উচ্চ পর্যায়ের সরঞ্জাম, নতুন জ্বালানি চালিত গাড়ি, পরিবেশ সংরক্ষণ, বেসামরিক বিমান চলাচল, জাহাজ নির্মাণ এবং সামুদ্রিক প্রকৌশল সরঞ্জাম ইত্যাদি। এর মধ্যে নতুন জ্বালানি ও নতুন জ্বালানি চালিত গাড়ি এ দুটি শিল্পে চীন বিশ্বে শীর্ষে রয়েছে।

তারপর নতুন মানের উত্পাদন শক্তি মানে ‘শূন্য থেকে এক’ এমন কিছু বৈজ্ঞানিক উদ্ভাবন। এক ধরনের প্রযুক্তি হঠাৎ করে আমাদের জীবনকে পরিবর্তন করে এমন প্রযুক্তি নতুন মানের উত্পাদন শক্তি হতে পারে। যেমন ১৯৯৩ সালে স্মার্টফোন এসে আমাদেরকে মোবাইল ইন্টারনেটের যুগে নিয়ে এসেছে। ৩০ বছরের আগে আমরা কখনও কল্পনা করতে পারিনি যে নগদ ছাড়া সব কেনাকাটা করা যায় আর এখন তা শুধু বাস্তবতায় পরিণত হয়েছে তা নয়, বরং আমাদের একটি জীবনযাপনে অভ্যস্ত করেছে।

12全文 2 下一页

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn