মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের আচরণ পরিস্থিতি অবনতি করছে
যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেন সম্প্রতি ইয়েমেনের রাজধানী সানা-সহ ১০টিরও বেশি স্থানে হুথি গোষ্ঠীর সশস্ত্র লক্ষ্যবস্তুতে বিমান হামলা চালিয়েছে। এর আগে, যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়া ও ইরাকে তথাকথিত "ইরান-সমর্থিত" সশস্ত্র গোষ্ঠীর লক্ষ্যবস্তুতে বিমান হামলা চালায়। যার ফলে কয়েক ডজন মানুষ হতাহত হয়। আঞ্চলিক উত্তেজনা ক্রমাগত বাড়তে থাকায়, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিনকেন আবারও মধ্যপ্রাচ্য সফর করেছেন। তিনি বলেছেন যে, তিনি ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘর্ষে মধ্যস্থতা করার জন্য গিয়েছেন।
বিশ্লেষকরা উল্লেখ করেন যে, যুক্তরাষ্ট্র যখন তার বিরোধীদের শক্তি দিয়ে দমন করার জন্য মধ্যপ্রাচ্যে ‘আগুন জ্বালায়’, তখন এটি তার নিজস্ব রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে গাজা উপত্যকায় ‘কূটনৈতিকভাবে আগুন নিভানোর’ চেষ্টা করে। এ ধরনের পরস্পরবিরোধী এবং বিভাজনমূলক নীতি মধ্যপ্রাচ্যে প্রকৃত শান্তি ও স্থিতিশীলতা আনতে ব্যর্থ হবে, উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে তুলবে এবং আঞ্চলিক পরিস্থিতিকে ‘অত্যন্ত অস্থিতিশীল অবস্থায়’ ঠেলে দেবে।
শাংহাই বিদেশি ভাষা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যপ্রাচ্য গবেষণাগারের অধ্যাপক ডিং লং উল্লেখ করেন যে, যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশোধের তীব্রতা ক্রমাগত বৃদ্ধি করে প্রতিরোধ অর্জনের নীতি গ্রহণ করছে। নিংসিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নিউ সিনছুন বিশ্বাস করেন যে, এই বিমান হামলার জন্য মার্কিন সেনাবাহিনীর দুটি বিবেচনা রয়েছে: প্রথমত, মার্কিন সামরিক ঘাঁটি এবং কর্মীদের উপর আরেকটি আক্রমণ প্রতিরোধ করতে ইরাক ও ইরানের মিলিশিয়া গোষ্ঠীগুলোকে নিবৃত্ত করা; দ্বিতীয়ত, ইরাক ও ইরানের মিলিশিয়া গোষ্ঠীগুলোকে নিবৃত্ত করতে ইরানের মূল ভূখণ্ডে সরাসরি আক্রমণ এবং ইরানের সাথে সরাসরি সামরিক সংঘর্ষ এড়ানো।