২০২৩ সালে চীনে নানা মেলা আকৃষ্ট করেছে বিশ্বের কোম্পানীগুলোকে
একই সঙ্গে চীনে মেলার অর্থনীতিও অব্যাহতভাবে বাড়ছে। চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান অনুসারে এ বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চীনের ভূভাগের পেশাদার ভেন্যুতে বিভিন্ন ধরণের মোট ৩ হাজার ২৪৮টি মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে, যা গত বছরের অনুরূপ সময়ের চেয়ে ১.৮ গুণ বেড়েছে। সেগুলোর মধ্যে ১ হাজার ৯০৮টি বড় আকারের মেলা ছিল, যা গত বছরের অনুরূপ সময়ের চেয়ে ২.৩ গুণ বেড়েছে; মেলার মোট প্রদর্শনের এলাকা ছিল ৭৬.৮৬ মিলিয়ন বর্গ মিটার, যা গত বছরের অনুরূপ সময়ের চেয়ে ১.৭ গুণ বেশি।
এ সব তথ্য সম্পূর্ণরূপে প্রমাণ করে যে, চীনে মেলার অর্থনীতি প্রাণবন্তভাবে উন্নয়ন হচ্ছে এবং বিশ্বের কোম্পানিগুলোর জন্য আরও বেশি সুযোগ প্রদান করছে।
চলতি বছর চীন আন্তর্জাতিক আমদানি মেলায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে বিশ্বের ৫০০ শক্তিশালী শিল্পপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। চীন ও আফ্রিকার আর্থ-বাণিজ্য মেলায় স্বাক্ষরিত প্রকল্পের সংখ্যা ইতিহাসের সর্বোচ্চ। ২ হাজার ৪০০টিরও বেশি শিল্পপ্রতিষ্ঠান আকৃষ্ট হয়ে চীন পরিষেবা বাণিজ্য মেলায় অফলাইনে অংশগ্রহণ করেছে, প্রথম পর্যায়ের ক্যান্টন ফেয়ারে অফলাইন রপ্তানির মোট মূল্য ২২.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। চীনের অর্থনীতি পর্যবেক্ষণের গুরুত্বপূর্ণ জানালা হিসেবে ২০২৩ সালে চীনের মেলা চীনের অর্থনীতির প্রাণবন্ত শক্তি ফুটিয়ে তুলেছে।
চলতি বছরে বিদেশি শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো চীনের শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে গভীর সহযোগিতা চালিয়েছে। এমন সহযোগিতা কেবল বাজার সম্প্রসারণ ও ব্যবসায় বাড়ানো নয়, বরং বৈশ্বিক অর্থনীতির উন্নয়নকে এগিয়ে যাওয়া।
২০২৩ সালে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির অর্থনীতি বিষয়ক কর্মসম্মেলনে “উচ্চ মানের বৈদেশিক উন্মুক্ততা সম্প্রসারণের” সংকেত পৌঁছে দেওয়া হয়। চীনের উন্মুক্ত নীতির সহায়তায় আরো বেশি বিদেশি শিল্পপ্রতিষ্ঠান চীনের বাজারের উন্নয়নের ভবিষ্যত নিয়ে আস্থাশীল।
এক কথায় বলা যায়, ‘মেলা’ হলো ২০২৩ সালে চীনের অর্থনীতির একটি উল্লেখযোগ্য বিষয়। চীনা শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে হাতে হাত রেখে, সহযোগিতা করে ভবিষ্যত সৃষ্টি করতে ইচ্ছুক বিদেশি শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো। এমন ধারা শুধুমাত্র চীনের অর্থনীতির উন্নয়নের সহায়ক নয়, বরং বৈশ্বিক অর্থনীতির সমৃদ্ধি ও উন্নয়নের অনুকূল। বিশ্বাস করি, ভবিষ্যতে “মেলার ধারা” অব্যাহভাবে চালিয়ে যাবে এবং আরো বেশি বিদেশি শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো চীনের উন্নয়নের সুযোগ ভাগাভাগি করবে।
লিলি/হাশিম