যে কারণে ৯০ শতাংশ উত্তরদাতা চীন-বাংলাদেশ সহযোগিতার প্রশংসা করেন
বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম দেশ, যে "বেল্ট অ্যান্ড রোড" সহযোগিতা উদ্যোগে সাড়া দিয়েছে। গত সাত বছরে, "বেল্ট অ্যান্ড রোড" উদ্যোগের আওতাধীন সহযোগিতা দক্ষিণ এশিয়ার উত্তপ্ত ভূমি "সোনালী বঙ্গোপসাগর"-এ শিকড় গেড়েছে এবং প্রস্ফুটিত হয়েছে। ধারাবাহিক সহযোগিতামূলক প্রকল্প বাংলাদেশের জাতীয় অর্থনীতির উন্নতিতে দারুণ অবদান রেখেছে এবং জনগণের জীবিকা ও বাংলাদেশের পশ্চাৎপদ অবকাঠামোতে ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটিয়েছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চীনা কোম্পানিগুলো এ পর্যন্ত বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি ক্ষেত্রে ২৭টি প্রকল্প নির্মাণে জড়িত এবং ১২টি রাস্তা, ২১টি সেতু এবং ৭টি রেলপথ নির্মাণকাজে অংশ নিয়েছে। বাংলাদেশের জন্য প্রায় ৫.৫ লাখ কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে এবং বাংলাদেশের জন্য বিলিয়ন ইউয়ান বিনিয়োগ করেছে।
মাস্টারকার্ড ইকোনমিক ইনস্টিটিউটের (এমইআই) বার্ষিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন অনুসারে, আগামী বছর ৪৬টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ দ্বিতীয় দ্রুততম বর্ধনশীল অর্থনীতিতে পরিণত হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একবার বলেছিলেন যে, "বেল্ট অ্যান্ড রোড" উদ্যোগের আওতাধীন যৌথনির্মাণ বাংলাদেশের জন্য উন্নয়নের একটি নতুন দ্বার উন্মোচন করেছে।
আশা করা যায়, বাংলাদেশের "সোনার বাংলা"-র স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে চীন সবসময়ই তার সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ও দীর্ঘমেয়াদী অংশীদার থাকবে। "বেল্ট অ্যান্ড রোড" উদ্যোগ এবং বাংলাদেশের উন্নয়নের কৌশলের গভীরভাবে একীকরণের সাথে, দুই দেশ উন্নত অভিজ্ঞতা এবং প্রযুক্তি ভাগ করে নেবে এবং উন্নয়ন ও বাজারের সুযোগ ভাগ করে নেবে।