সানফ্রান্সিসকোয় শুরু হওয়া অ্যাপেক সম্মেলনকে আগের অভিজ্ঞতা থেকে অনুপ্রেরণা নেওয়া উচিত্
নভেম্বর ১৪: এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অর্থনৈতিক সহযোগিতা সংস্থা বা অ্যাপেকের ৩০তম শীর্ষসম্মেলন ১১ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের সানফ্রান্সিসকোতে শুরু হয়েছে। অ্যাপেক নেতৃবৃন্দের অনানুষ্ঠানিক বৈঠকের পাশাপাশি, ঊর্ধ্বতন আর্থিক কর্মকর্তা এবং মন্ত্রীদের বৈঠক এবং অ্যাপকের সিইও’র শীর্ষসম্মেলনও এ সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হচ্ছে বা হতে যাচ্ছে। ২০ হাজারেরও বেশি অংশগ্রহণকারীরা এই সপ্তাহে নানা বৈঠকে বা সভায় উপস্থিত হচ্ছেন।
যুক্তরাষ্ট্র ১২ বছর পর আবারও অ্যাপেকের আয়োজন করলো। এ বছর অ্যাপেকের ৩০তম বার্ষিকী। যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৩ সালে প্রথমবার অ্যাপকের সভা আয়োজন করেছিল এবং অ্যাপেক বৈঠককে দ্বৈত মন্ত্রীদের বৈঠকের ব্যবস্থা থেকে একটি অনানুষ্ঠানিক নেতাদের বৈঠকের স্তরে উন্নীত করেছিল। আয়োজক দেশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র কী ধরনের ভূমিকা পালন করবে? অ্যাপেকের ভবিষ্যত উন্নয়নে কী প্রভাব পড়বে? আসলে এটি যুক্তরাষ্ট্রের জন্য একটি পরীক্ষাও বটে।
জানা গেছে, সানফ্রান্সিসকো এবারের অ্যাপেক বৈঠকের আয়োজনকে অনেক গুরুত্ব দেয়, ১৯৪৫ সালে এখানে জাতিসংঘের সনদ স্বাক্ষরিত হওয়ার পর একে “মহাকাব্যিক ঘটনা” বলে অভিহিত করা হয়। এই সম্মেলন শুধুমাত্র বাণিজ্য, পর্যটন ও বিনিয়োগের মাধ্যমে সানফ্রান্সিসকোতে ৫ কোটি মার্কিন ডলারেরও বেশি অর্থনৈতিক সুবিধা আনবে না, বরং অনেক মানুষ এখানে বিশ্ব অর্থনৈতিক সহযোগিতা এবং আন্তঃসংযোগ প্রচারে তাদের প্রত্যাশা ও উচ্চ সমর্থনও ব্যক্ত করেছেন। যাই হোক, সান ফ্রান্সিসকোতে উত্সাহ খুব বেশি হলে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিশ্বায়ন, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের উদারীকরণ এবং ভূ-রাজনৈতিক প্রতিযোগিতার বিষয়ে মার্কিন মনোভাবের প্রেক্ষিতে এই বৈঠক সফল হবে কিনা, তা যুক্তরাষ্ট্রকে পূর্বের অভিজ্ঞতা থেকে শিখতে হবে।