চীনের আন্তর্জাতিক আমদানি মেলা
চীনের জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরোর সম্প্রতি প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুসারে, চলতি বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে চীনের মোট জিডিপি ৫.২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্প্রতি প্রকাশিত পরিসংখ্যানে বলা হয়, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চীনে নতুন বিনিয়োগকারী বিদেশী প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিল ৩৭.৮১৪ হাজারটি, যা আগের বছরের চেয়ে ৩২.৪ শতাংশ বেশি। আর উত্পাদিত শিল্পে ব্যবহৃত বিদেশী মূলধনের প্রকৃত পরিমাণ ছিল ২৬২.৪১ বিলিয়ন ইউয়ান, যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ২.৪ শতাংশ বেশি।
বর্তমান বিশ্ব অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের একাধিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। এই পটভূমিতে চীনা অর্থনীতি এখনও সামগ্রিক ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বজায় রেখেছে। সেজন্য চীনের ভালোভাবে ষষ্ঠ সিআইআইই আয়োজনের আস্থা ও সংকল্প আছে। সিআইআইই’র সুযোগ কাজে লাগিয়ে বিশ্বের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে আরও বেশি অবদান রাখবে চীন।
চলতি বছর হলো ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ (বিআরআই) উত্থাপনের দশম বার্ষিকী। এবারের মেলায় ৭২টি দেশের মধ্যে ৬৪টি হলো বিআরআই-সংশ্লিষ্ট দেশ। সম্প্রতি বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সী ঢাকায় সাংবাদিককে জানান, বিআরআই বাংলাদেশের জন্য একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ। এটি বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের বাণিজ্য ও পর্যটনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের সহযোগিতা জোরদার করে এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন শিল্প উন্নয়নের জন্য নতুন সুযোগ সৃষ্টি করে। দু’দেশ বিআরআই-এর কাঠামোয় বিভিন্ন ক্ষেত্রের সহযোগিতা জোরদার করবে বলে আশা করা যায়।
সিআইআইই উত্পাদন, বৈদেশিক বাণিজ্য ও পরিবহনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিআরআই-সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর জন্য উন্নয়নের নতুন সুযোগ সৃষ্টি করে। পাশাপাশি, চীনের বিরাট বাজার ও বৈদেশিক উন্মুক্তকরণ নীতি ও ব্যবস্থাগুলো সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক কল্যাণকর সহযোগিতা উন্নয়নের জন্যও সহায়ক। মুক্তা, সিএমজি, বেইজিং থেকে।