চীনের আন্তর্জাতিক আমদানি মেলা
নভেম্বর ৬: চীনের ষষ্ঠ আন্তর্জাতিক আমদানি মেলা (সিআইআইই) ৫ থেকে ১০ নভেম্বর পর্যান্ত শাংহাইয়ে আয়োজিত হবে। এটি মহামারীর পর সিআইআইই-এর প্রথম অফলাইন আয়োজন। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সিআইআইই চীনের উচ্চমানের বৈদেশিক উন্মুক্তকরণের সংকল্পকে প্রতিফলিত করে।
২০১৮ সাল থেকে সিআইআইই টানা পাঁচ বছর সফলভাবে আয়োজিত হয়। মেলার মান ও স্তর অব্যাহতভাবে উন্নত থেকে উন্নততর হচ্ছে। প্রতিবছরই মেলায় লেনদেনের অংক বাড়ছে। দুই সহস্রাধিক নতুন পণ্য, নতুন প্রযুক্তি ও নতুন পরিষেবা মেলায় প্রদর্শিত হয়েছে। সিআইআইই চীনের উচ্চমানের বৈদেশিক উন্মুক্তকরণের একটি প্ল্যাটফর্মের পরিণত হয়েছে। মেলাটি বিশ্বের সাথে চীনের ইতিবাচক অর্থনৈতিক যোগাযোগ ও সহযোগিতার আগ্রহকে প্রতিফলিত করে।
আমদানির থিম নিয়ে বিশ্বের প্রথম আন্তর্জাতিক মেলা হিসাবে সিআইআইই হলো বিশ্বের সকল প্রতিষ্ঠানের জন্য চীনের উচ্চমানের বৈদেশিক উন্মুক্তকরণ উপভোগের একটি প্লাটফর্ম। এটি চীনের বৈদেশিক উন্মুক্তকরণ ক্রমাগত সম্প্রসারণের অন্যতম সাক্ষী। চীনের অব্যাহত কার্যকর উন্মুক্তকরণের নতুন ব্যবস্থাগুলো শুধু বিদেশী বিনিয়োগকারীদের জন্য সুযোগ সৃষ্টি করছে তা নয়, বরং বিশ্বের কাছে চীনের দৃঢ় উন্মুক্তকরণের তথ্যও প্রকাশ করছে।
চীন বাংলাদেশের সঙ্গে সিআইআইই’র প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে দ্বিপক্ষীয় অবাধ বাণিজ্যিক চুক্তি স্বাক্ষরের প্রক্রিয়া দ্রুততর করবে। সম্প্রতি বাংলাদেশে চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বাংলাদেশের গণমাধ্যম ডেইলি স্টার পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ২০১০ সাল থেকে চীনের মূল ভূখণ্ড বরাবরই বাংলাদেশের বৃহত্তম একক বাণিজ্যিক অংশীদার। চীন নিজের বিরাট বাজার দিয়ে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের জন্য অভিন্ন সুযোগ সৃষ্টি করে। চীন বাংলাদেশী রপ্তানিকারকদের চীনে রপ্তানিকৃত ৯৮ শতাংশ বাংলাদেশী পণ্যের জন্য অগ্রাধিকারমূলক শুল্ক সুবিধা প্রদান করে এবং সিআইআইই-সহ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে বাংলাদেশের ব্রান্ড প্রচার করতে উত্সাহ দেয়।