ছেংতু ৩১তম বিশ্ব বিশ্ববিদ্যালয় গেমস প্রসঙ্গ
পান্ডার কারণে ছেংতু বিশ্ববিখ্যাত একটি শহর। আসলে ছেংতু একটি সাংস্কৃতিক ও আধুনিক শহর। ২০২২ সালে ছেংতু শহরের জিডিপি ২ ট্রিলিয়ন ইউয়ানের বেশি ছিল এবং ছেংতু বিমানবন্দরের যাত্রী থ্রুপুটও চীনে সবচেয়ে বেশী। টানা ১৪ বছর ধরে ছেংতু চীনের সবচেয়ে সুখী শহর এবং ৪ বছর ধরে বিদেশীদের চোখে সবেচয়ে আকর্ষণীয় শহর হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট সি সবাইকে ছেংতু শহরে ঘুড়ে বেড়ানোর আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। আমার মতে ছেংতু দেখে আধুনিক চীনের কিছু রূপ দেখতে পারেন বিদেশীরা।
ক্রীড়ার ওপর চীন সরকার বেশ গুরুত্ব দেয়। চীনা কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিসি)-র কুড়িতম জাতীয় কংগ্রেসে, ২০৩৫ সালের মধ্যে চীনকে শক্তিশালী ‘ক্রীড়া দেশ’ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্য ঠিক করা হয়। সেই লক্ষ্য অর্জনের পথে চীন সামনে এগিয়ে যাচ্ছে।
অনেক বিশ্ববিখ্যাত ক্রীড়াবিদ বিশ্ববিশ্ববিদ্যালয় গেমস থেকে বিশ্বের মঞ্চে উঠে এসেছেন অতীতে। এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না। যৌবন মানে জীবনীশক্তি, যৌবন মানে আশা। প্রথম দিন থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় গেমস যেন যৌবন, ঐক্য ও মৈত্রীর লীলাক্ষেত্র। যখন বিশ্বের মানুষ হাতে হাত রেখে প্রতিযোগিতা উপভোগ করেন, মৈত্রী লালন করেন, একসাথে এগিয়ে যান, তখন ছেংতুতে শুধু স্বপ্ন নয় বরং সুন্দর একটি ভবিষ্যতের নির্মাণকাজ চলছে। এটিই ক্রীড়ার মোহিনীশক্তি।
