কেন রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতের অবসান চায় না যুক্তরাষ্ট্র?
যুক্তরাষ্ট্রের ট্রয় ইউনিভার্সিটির ম্যানুয়েল জনসন সেন্টার ফর পলিটিক্যাল ইকোনমি-এর নির্বাহী পরিচালক অ্যালান মেন্ডেনহল বলেন, ব্ল্যাকরকের কিছু প্রাক্তন কর্মচারী কোম্পানি ছেড়ে সরকারি দপ্তরে যোগ দেন এবং সেখান থেকে ফেরার পর কোম্পানিতে পুনরায় নিয়োগ পান। এইভাবে ব্ল্যাকরক মার্কিন সরকারের ওপর প্রভাব ফেলে।
মিডিয়া এক্সপোজারের ব্যাপারে ব্ল্যাকরকের কোনো আগ্রহ নেই। কিছু আমেরিকান রাজনীতিবিদরা বিশ্বাস করেন যে, ভালি যা বলেছেন তা সত্য, কারণ যুক্তরাষ্ট্র এমনই। রাশিয়াকে ক্রমাগত দুর্বল করা যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান লক্ষ্য। যতদিন যুদ্ধের শিখা জ্বলতে থাকবে, রাশিয়াকে তার নিজের নিরাপত্তার প্রয়োজনে যুদ্ধক্ষেত্রে প্রচুর সম্পদ বিনিয়োগ করতে হবে। এইভাবে, এটি কেবল রাশিয়ার জাতীয় শক্তিকেই দুর্বল করবে না, বরং রাশিয়ায় রাজনৈতিক সংকটও সৃষ্টি করতে পারে।
একই সময়ে, যতদিন রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলতে থাকবে, শীতল যুদ্ধ-পরবর্তী ইউরোপীয় নিরাপত্তাব্যবস্থার নিয়ন্ত্রিত ভারসাম্য বজায় রাখা যাবে এবং যুক্তরাষ্ট্র ইউরোপকে সহজে নিয়ন্ত্রণের সুযোগ পাবে।
যতক্ষণ যুদ্ধ চলতে থাকবে, যুক্তরাষ্ট্র জ্বালানিসম্পদের চ্যানেলগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে এবং ইউরোপকে কৌশলগত স্বায়ত্তশাসন থেকে দূরে রাখতে পারবে। নর্ড স্ট্রিম পাইপলাইনে হামলা এ কারণেই হয়েছে।
শুধু তাই নয়, যুক্তরাষ্ট্র পশ্চিম ইউরোপীয় দেশগুলোর সামরিকীকরণকেও উন্নত করেছে, ইউরোপকে পূর্ব ও পশ্চিমের মধ্যে সামরিক সংঘর্ষের একটি ক্ষেত্রে পরিণত করেছে।
বিশ্লেষকরা মনে করেন যে, উপরে উল্লিখিত কারণগুলো ওপেন সিক্রেট। রাশিয়া এবং ইউরোপীয় দেশগুলো ইতোমধ্যেই এ সম্পর্কে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছে। ইনভেন্টরি পরিষ্কার করার সময়, পুরানো অস্ত্র ও সরঞ্জামগুলো যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহারের জন্য পাঠানো হয় এবং অন্যদিকে, তারা নতুন উন্নত অস্ত্র উত্পাদন করতে থাকে। যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে প্রকৃতপক্ষে ব্যাপক অস্ত্র ও গোলাবারুদ উত্পাদনের জন্য ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে।