চীন-মধ্য এশিয়া সহযোগিতায় দ্রুত উন্নয়ন প্রসঙ্গ
বিশ্লেষকরা মনে করেন, চীন ও মধ্য-এশিয়ার দেশগুলোর সহযোগিতা হলো পারস্পরিক কল্যাণের আঞ্চলিক ও জয়-জয় সহযোগিতা; এটা কোনো জিরো-সাম-গেইম নয়। আর তাই এই সম্মেলন ফলপ্রসূ হয়েছে। মধ্য-এশিয়া দীর্ঘকাল ধরে বিদেশী হস্তক্ষেপে ভুগছে, সেজন্য পারস্পরিক কল্যাণকর সহযোগিতা এগিয়ে নিতে অংশীদারদের প্রয়োজন। চীন আঞ্চলিক দেশগুলোর প্রভাবশালী অবস্থান এবং স্বাধীন একীকরণ প্রক্রিয়াকে আন্তরিকভাবে সম্মান করে। সি চিন পিং তাঁর ভাষণে বলেন, বিশ্ব একটি স্থিতিশীল, সমৃদ্ধ, সম্প্রীতিময় ও ইন্টারঅপারেবল মধ্য-এশিয়া চায়। চীন এ ধরণের মধ্য-এশিয়া গড়ে তোলার দৃঢ় সমর্থক।
মধ্য-এশিয়ার দেশগুলো স্থলবেষ্টিত ও সমুদ্রে তাদের প্রবেশাধিকার নেই, যা মূলত এসব দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথে অন্যতম বড় বাধা। কিন্তু চীনের সহযোগিতায় ইউরোপ ও পূর্ব-এশিয়া সংযুক্ত হতে পারে; অসুবিধাগুলো পরিণত হতে পারে সুবিধায়।
কোনো দেশের সঙ্গে চীনের সহযোগিতা একচেটিয়া নয়। চীন-মধ্য এশিয়া ব্যবস্থার মাধ্যমে শুধুমাত্র স্থানীয় সমৃদ্ধি ও উন্নয়ন হবে না, বরং উন্নয়নের ধারা প্রতিবেশী দেশগুলোতেও অনুভূত হবে। আসলে দুটি বড় দেশ হিসাবে চীন ও রাশিয়া সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মধ্য-এশিয়ার সাথে আরও বেশি করে সহযোগিতা করছে, যা একটি প্রবণতা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটি ‘চীন ও রাশিয়া প্রভাব বিস্তারের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে’ মর্মে পশ্চিমা দেশগুলোর বিদ্বেষপূর্ণ প্ররোচনাকে মিথ্যা প্রমাণ করেছে।
বস্তুত, যেকোনো আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের জন্য সহায়ক-ব্যবস্থা জরুর। চীন এই অঞ্চলের সাধারণ সমৃদ্ধির জন্য সহায়ক-পদক্ষেপের সমর্থক। মধ্য-এশিয়া ছাড়াও, বিশ্বের সব অঞ্চলের জন্য চীনের নীতি একই। সাধারণ বৈশ্বিক উন্নয়ন কীভাবে অর্জন করা যায়, ‘চীন-মধ্য এশিয়া অভিন্ন কল্যাণের সমাজ’-এর অভিজ্ঞতা সমগ্র বিশ্বকে তা দেখিয়েছে।