আসলে কতটা সত্য ‘চীনা ঋণের ফাঁদ’?
গত ২৭ এপ্রিল বাংলাদেশের ঢাকা ট্রিবিউন পত্রিকায় ‘সব সুতা দৃঢ়ভাবে সংযুক্ত,বাংলাদেশ কি চীনা ঋণের ফাঁদ এড়াতে পারবে?’ শিরোনামে একটি প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। এতে চীনা ঋণের ফাঁদের কথা উল্লেখ করা হয়। আসলে বাংলাদেশের তথ্যমাধ্যমে আমি প্রথমবারের মতো এমন খবর দেখেছি- তা কিন্তু নয়। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীন ও বাংলাদেশের সম্পর্ক স্থিতিশীলভাবে এগিয়ে যাচ্ছে এবং দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা দিন দিন বাড়ছে। এমন সময়ে আমরা কিছু বিতর্কও শুনেছি। তাহলে চীন ও বাংলাদেশ কী কী বিষয়ে সহযোগিতা করে? কীভাবে সহযোগিতা করে? এবং তথাকথিত ‘চীনা ঋণের ফাঁদ’ কি আসলে সত্য? আজকের অনুষ্ঠানে আমরা এসব বিষয়ে আলোচনা করব।
প্রথমে আমরা দেখি চীন ও বাংলাদেশ কী কী বিষয়ে সহযোগিতা করে। গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর বাংলাদেশে প্রথম মেট্রোরেল তথা ঢাকা মেট্রোরেল (এমআরটি লাইন ৬) চালু হয়েছে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একে দেশের উন্নয়নের একটি মাইলফলক হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। চালু হবার পর প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ বাংলাদেশের নানা জায়গা থেকে এ লাইনটি দেখতে আসছেন। এটি একটি জনপ্রিয় দর্শনীয় স্থানে পরিণত হয়েছে। চীন ও থাইল্যান্ডের দুটি কোম্পানি এ লাইনের নির্মাণ কাজে অংশগ্রহণ করেছে। ঢাকা বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ শহরের অন্যতম। অনেক বাংলাদেশী মনে করেন, মেট্রোরেল একদিকে পরিবহনের চাপ কমিয়েছে, অন্যদিকে বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণের জন্যও সহায়ক হবে। সবাই এমন প্রকল্প থেকে উপকৃত হবে।
অবকাঠামো ক্ষেত্রে চীন ও বাংলাদেশ নানা সহযোগিতা করে আসছে। যেমন: দশেরগান স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্লান্ট, হাতিরঝিল-আমুলিয়া-ডেমরা সড়ক পথ এবং আসন্ন রাজশাহী সারফেস ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট প্রকল্প ইত্যাদি। এসব প্রকল্প সাধারণ মানুষের জীবিকার মান উন্নয়নের সঙ্গে জড়িত আছে। কোটি কোটি মানুষ এসব থেকে উপকৃত হবে। পাশাপাশি, এ প্রকল্পগুলো স্থানীয় কর্মসংস্থান সৃষ্টি করছে। আসলে প্রতিটি উদ্যোগ নানা সুবিধা বয়ে আনে।