পৃথিবীর সবচেয়ে বড় হ্যাকার যুক্তরাষ্ট্র
নজরদারি, গোপন তথ্য চুরি এবং সাইবার হামলা তিনবেলার খাবারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র হ্যাকারদের সাম্রাজ্য হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আসছে। তা বারবার প্রমাণিতও হয়েছে। সম্প্রতি মার্কিন সশস্ত্র বাহিনীর গোপন দলিল যোগাযোগ মাধ্যমে ফাঁস হয়েছে। তাতে রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘর্ষসহ নানা বিষয়ে গোয়েন্দা তথ্য থাকার পাশাপাশি জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরহিস এবং দক্ষিণ কোরিয়া, ইসরাইল ও ইউক্রেনসহ নানা মিত্র দেশের ওপর মার্কিন নজরদারির তথ্য রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র বহু বছর ধরে বরাবরই শুধু প্রতিদ্বন্দ্বী নয়, বরং তার মিত্র দেশগুলোর ওপরও নজরদারি করে থাকে। যেমন: এর আগে সংঘটিত প্রিজম-ডোরের ঘটনা থেকে জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্র ফ্রান্সের সাবেক প্রেসিডেন্ট নিকোলাস সারকোজি ও ফ্রাসোয়াঁ ওলান্দ, জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেল সহ ইউরোপের অনেক রাষ্ট্রপ্রধান ও রাজনীতিবিদের ওপর নজরদারি করেছে। জাপানের বিরুদ্ধে ‘টার্গেট টোকিও’ প্রকল্প চালু করে দেশটির মন্ত্রিসভা, অর্থ মন্ত্রণালয়সহ নানা সরকারী সংস্থা ও কর্মকর্তার ওপর নজরদারি চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
এ পর্যায়ে অনেকে হয়ত বলতে পারেন, ‘আমি একজন সাধারণ মানুষ। আমার কিছুই হবে না।’ আসলে কি তাই? যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বের বিলিয়নের ওপর নেটিজেনের ব্যক্তিগত ও সংবেদনশীল তথ্য চুরি করেছে। এক পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে, মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা ব্যুরো এক সময় ৩০ দিনের মধ্যে ৯৭ বিলিয়ন ইমেইল এবং ১২৪ বিলিয়ন টেলিফোন ডেটা চুরি করেছে। তাদের মধ্যে জার্মানির ৫০ কোটি, ব্রাজিলের ২৩০ কোটি, ভারতের ১৩৫০ কোটি, ফ্রান্সের ৭ কোটি এবং স্পেনের ৬ কোটি।
সাইবার মানব জাতির অভিন্ন সম্পদ। এর নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সার্বভৌমত্বের সঙ্গে জড়িত। যুক্তরাষ্ট্রের এহেন কর্মকাণ্ড বিশ্ব সাইবার শৃঙ্খলা এবং বিশ্ব স্থিতিশীলতার জন্য ব্যাপক হুমকি সৃষ্টি করেছে। তার উচিত সব ধরণের হ্যাকিং বন্ধ করা।