চীনের অর্থনৈতিক উন্নয়ন বিশ্বে অবদান রাখবে: আন্তর্জাতিক মতামত
দুই অধিবেশন বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। বিশেষ করে, চীনের অর্থনৈতিক উন্নয়ন আঞ্চলিক সমৃদ্ধি এবং বিশ্বের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে অবদান রাখবে বলে বিশ্বাস করে আন্তর্জাতিক সমাজ। তারা মনে করে, চীনের অর্থনৈতিক উন্নয়ন জনগণকেন্দ্রিক এবং চীনের উন্নয়নের অভিজ্ঞতা থেকে শেখার সুযোগ আছে।
সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ইস্ট এশিয়ান ইনস্টিটিউটের ডিরেক্টর বার্ট হফম্যান (Bert Hofman) ২০২৩ সালে চীনের জিডিপি লক্ষ্য এবং বিশ্ব অর্থনীতিতে দেশটির অবদান সম্পর্কে তার মতামত প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন,
“আমি মনে করি যে চীনের ৫শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা মার্জিত ও বুদ্ধিদীপ্ত। আমরা প্রথম কয়েক মাসে যে ডেটা দেখেছি তার ভিত্তিতে এই লক্ষ্যটি উপযুক্ত। অর্থনীতি মোটামুটি দৃঢ়ভাবে প্রত্যাবর্তন করছে বলেই মনে হচ্ছে, ভোগের দৃষ্টিকোণ এবং উত্পাদন উভয় সক্রিয় রয়েছে। সুতরাং এর ৫ শতাংশ বৃদ্ধি অর্জন করা তুলনামূলকভাবে সহজ বলেই বোঝা যায়। তবে খুব বেশি লক্ষ্য নির্ধারণ না-করাও বুদ্ধিমানের কাজ। আর্থিক অবস্থাকে সমর্থন করার লক্ষ্যে কাঠামোগত সংস্কারের জন্য এখন আরও স্পেস রয়েছে। তাই চীনের অর্থনৈতিক ঝুঁকি কমানোর লক্ষ্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।”
মিশরের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এসাম শরাফ সাংবাদিকদের দেওয়া এক ভিডিও সাক্ষাত্কারে চীনের অর্থনৈতিক উন্নয়ন মডেলের উপর জোর দেন। তিনি বলেন, চীনের উন্নয়ন শুধু নিজের জন্যই লাভজনক না, বরং সারা বিশ্বের জন্যও উপকারী।
ফিলিপিন্সের রাজার বাণিজ্য ও শিল্প উপসচিব সেভেরিনো রুডলফ বলেছেন, চীন টেকসই ও উদ্ভাবনী উন্নয়নের পাশাপাশি উৎপাদন ও পরিষেবা খাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। চীন বাজারের সুযোগের প্রতিনিধিত্ব করে। আরও গুরুত্বপূর্ণ, প্রযুক্তি ও বিনিয়োগের উৎস হিসেবে চীন ফিলিপিন্সের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার।