গুণগত মানসম্পন্ন উন্নয়নের ওপর সি চিন পিং কেন এত গুরুত্বারোপ করেন?
তুমুল আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার মাঝে যুক্তরাষ্ট্র তার মিত্র দেশগুলোকে নিয়ে চীনের হাইটেক খাতকে রোধ করে আসছে এবং ইচ্ছামতো চীনা প্রতিষ্ঠানগুলোকে কালো তালিকাভুক্ত করছে। চীনের অর্থনীতির গুণগত মানসম্পন্ন উন্নয়ন সাধিত হবে মূলত বিজ্ঞান-প্রযুক্তির উদ্ভাবনের ওপর নির্ভর করে।
চীন কীভাবে গুণগত মানসম্পন্ন উন্নয়ন সাধন করবে? এদিনের ভাষণে গুণগত মানসম্পন্ন উন্নয়ন নিয়ে সি চিন পিং তাঁর চিন্তাভাবনা তুলে ধরেন। তিনি মনে করেন, চীনকে দ্রুত উদ্ভাবনের মধ্য দিয়ে উন্নয়ন সাধনের কৌশল কার্যকর করতে হবে এবং শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানীদের নেতৃত্বে উদ্ভাবনশীল ও শীর্ষ বৈজ্ঞানিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে, যাতে বিজ্ঞান-প্রযুক্তির সাফল্যের রূপান্তর এবং শিল্পায়নের মান উন্নত এবং বৈশ্বিক প্রভাবশালী উদ্ভাবনের নতুন কেন্দ্রে পরিণত হতে পারে চীন।
চীনের গুণগত মানসম্পন্ন উন্নয়নের চূড়ান্ত লক্ষ্য কী? চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং’র চোখে গুণগত মানসম্পন্ন উন্নয়নের চূড়ান্ত লক্ষ্য হলো মানুষের সুখ ও সুস্থতা নিশ্চিত করা। ‘মানুষ সত্য’ হলো সি চিন পিং’র রাষ্ট্র প্রশাসনের মূল দর্শন। প্রতিবছর জাতীয় গণকংগ্রেস ও জাতীয় রাজনৈতিক পরামর্শ সম্মেলনের বার্ষিক অধিবেশনে উপস্থিত থাকার সময় তৃণমূলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলতে পছন্দ করেন সি চিন পিং। তিনি তাদের কর্মজীবন ও জীবনযাত্রা, গণজীবিকার নিশ্চয়তা, তৃণমূল প্রশাসনসহ নানা বিষয়ে খোঁজখবর নেন। তিনি নিজেকে জনগণের সেবক হিসেবে গণ্য করেন।
২০১২ সালে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার পর সি চিন পিং বলেন, “সুন্দর জীবনের প্রতি মানুষের আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়নই হলো আমাদের পরিশ্রমের লক্ষ্য।”