স্বরূপে ফিরছে চীন

রেস্তোরায় লাইন ধরছে
তাদের আস্থা কোথা থেকে এসেছে? এর জবাব হয়তো দিতে পারে গত ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং’র নববর্ষের ভাষণ। ভাষণে সি চিন পিং বলেন, গত বছর চীন অব্যাহতভাবে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনৈতিক সত্তার অবস্থান ধরে রেখেছে। বছর শেষে চীনের জিডিপি’র পরিমাণ ১২০ ট্রিলিয়ন ইউয়ান ছাড়িয়ে যাবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। দারিদ্র্যমুক্তির সাফল্য ধরে রাখা এবং সার্বিকভাবে গ্রামীণ পুনরুজ্জীবন হয়েছে। চীনের মহাকাশ স্টেশন সার্বিকভাবে সম্পন্ন হয়েছে। "ফুচিয়ান" নামের তৃতীয় বিমানবাহী রণতরী চালু হয়েছে। নিজের নির্মিত প্রথম বড় বিমান সি-৯১৯ আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়েছে। পাই হ্য থান জল বিদ্যুত্ কেন্দ্র চালু হয়েছে। ২০২২ সালে বিশ্ব অর্থনীতির মন্দাবস্থার মধ্যে চীনের অর্জিত সাফল্য প্রমাণ করেছে যে চীনের অর্থনীতি বলিষ্ঠ, সম্ভাবনাময় এবং প্রাণচঞ্চল। চীন এখনও বিশ্ব অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির বৃহত্তম চালিকাশক্তি।

সম্প্রতি অনুষ্ঠিত চীনের কেন্দ্রীয় অর্থনৈতিক কর্মসভায় আন্তর্জাতিক সমাজের আস্থা আরও বেড়েছে। অর্থনৈতিক কর্মসভায় বলা হয়, ২০২৩ সালে চীন ছ’য়টি দিক থেকে তার অর্থনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করে যাবে। তাতে জোর দিয়ে বলা হয় যে করোনা মহামারি এবং অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন সমন্বয়কে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। অনুমান করা যায় যে নতুন বছরে চীনের অর্থনীতি ও সমাজ দ্রুত সুশৃংখল হবে এবং চীনাদের জীবন দ্রুত স্বাভাবিক হবে।
সিএনএন’র খবর থেকে জানা গেছে, চীনের করোনা প্রতিরোধ নীতি সুবিন্যাস্ত এবং অর্থনীতি চাঙ্গার ব্যবস্থা গ্রহণের ফলে গোল্ডম্যান সাচ, সোসাইটি জেনারেলে এবং মর্গান স্ট্যানলিসহ অন্যান্য অনেক আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান ভবিষ্যদ্বাণী করেছে যে চীনের অর্থনীতি ২০২৩ সালে স্থিরভাবে পুনরুদ্ধার করবে।
