স্বপ্ন বাস্তবায়নে চীন সবসময় বাংলাদেশের পাশে আছে
টানেলের কাজ শেষ করার এই অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেন, চীন-বাংলাদেশ নির্ভরযোগ্য কৌশলগত অংশীদার। আর এই টানেল ‘এক অঞ্চল, এক পথ’ উদ্যোগের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। সামনের দিনগুলোতে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে বলেও আশা করেন লি জিমিং।
অবকাঠামো নির্মাণ হল ‘এক অঞ্চল, এক পথ’ উদ্যোগের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ২০১৯ সালের এপ্রিল মাসে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং বলেছিলেন, ‘এক অঞ্চল, এক পথ’ নির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল পারস্পরিক যোগাযোগ স্থাপন করা। আর অবকাঠামো হল যোগাযোগের ভিত্তি। তবে, অনেক দেশের কাছে দুর্বল অবকাঠামো উন্নয়নের বাধা।
বাস্তবতা বিবেচনা করলে, চীন ও ‘এক অঞ্চল, এক পথ’ সংশ্লিষ্ট দেশ অবকাঠামো নিয়ে সবচেয়ে বেশি সহযোগিতা করছে। বিশেষ করে সড়ক, বন্দর, বিমানবন্দর, বিদ্যুত্ স্টেশন ইত্যাদি। যা সংশ্লিষ্ট দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা, জনগণের জীবিকা উন্নয়নে বিরাট অবদান রেখেছে।
যেমন, এই টানেল প্রকল্প। দীর্ঘকাল ধরে যোগাযোগ সমস্যা হল চট্টগ্রাম উন্নয়নের এক সমস্যা। এর আগে কর্ণফুলী নদীর দুই তীরের শুধু লঞ্চ বা ফেরি চলাচল করত। সময় লাগত ৪ ঘন্টা। অনেক অসুবিধা হয়। যোগাযোগের অবস্থা গুরুতরভাবে চট্টগ্রাম এবং দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়নের বাধা দেয়।
এখন এই সমস্যা সমাধান হচ্ছে, বাংলাদেশ চট্টগ্রাম অঞ্চলের মানুষের স্বপ্ন ধাপে ধাপে পূরণ হচ্ছে, আর এই পথে চীন সবসময় পাশে আছে। জানা গেছে, প্রকল্প চালু হওয়ার পর কর্ণিফুলী নদী পার হতে মাত্র ৪ মিনিট সময় লাগে। ভবিষ্যতে এশিয়ান হাইওয়ের সঙ্গেও সংযোগ স্থাপন করবে এই টানেল। সেই সঙ্গে কর্ণফুলী নদীর পূর্ব দিকে শহরাঞ্চলকে যুক্ত করে সেখানে উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে এটি। ওই এলাকায় যে শিল্প এলাকা গড়ে তোলার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে তার কাজও শুরু হবে জোরেসোরে। অন্যদিকে পশ্চিম দিকে চট্টগ্রাম মূল শহরের সঙ্গে সাগর ও বিমান বন্দরেরও দূরত্বও কমে আসবে। কম খরচে ভ্রমণ আরো সহজ হবে। আর দুই বন্দর থেকেই পণ্য পরিবহন সহজ হবে।
এমনটিই বলেছিলেন চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং। তিনি বলেছিলেন, প্রাচীনকাল থেকেই চীন ও বাংলাদেশের মৈত্রী রয়েছে। রেশমপথ দু’দেশের হাজার বছরের মৈত্রীর সাক্ষী। চীন বাংলাদেশের সঙ্গে উন্নয়নকৌশল সংযোগ করে যৌথভাবে ‘এক অঞ্চল, এক পথ’ নির্মাণকাজ জোরদার করবে, দু’দেশের সম্পর্ককে আরো এগিয়ে নেবে।