বিশ্বের জন্য নিরাপত্তা প্রস্তাব কেন দরকার?
মানব জাতির উন্নয়নের ইতিহাস ও বাস্তবতা বরাবরই প্রমাণ করেছে যে, স্নায়ুযুদ্ধের চিন্তা বিশ্ব শান্তির কাঠামোর লঙ্ঘন। আধিপত্যবাদ ও শক্তির রাজনীতি কেবল বিশ্ব শান্তির ক্ষতি করে। দলীয় বৈরিতা কেবল মানব জাতির সভ্যতা নষ্ট করে। বিশ্বযুদ্ধের ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখা যায় যে, দুটি বিশ্বযুদ্ধে মানব জাতির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ২ কোটি এবং দ্বিতীয়টিতে ৭ কোটি মানুষ নিহত হয়েছে।
রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতের কুপ্রভাব স্পষ্টই দেখা যাচ্ছে। রয়টার্সের পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে, গত ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত এ সংঘাতে ৪৬ হাজার মানুষ নিহত এবং ১ কোটি ৩০ লাখ ইউক্রেনীয় গৃহহীন হয়েছে, এবং অর্থনৈতিক ক্ষতির পরিমাণ ছিল ৫৬,৫০০ কোটি মার্কিন ডলার। এ সংঘাত ইঙ্গিত দেয় যে, বড় দেশগুলো ইরাক, আফগানিস্তান ও লিবিয়া যুদ্ধ থেকে শিক্ষাগ্রহণ করে নি। যার ফলে সে সব স্থানের লোকজন এখনও দুর্যোগ পোহাচ্ছে এবং পুনর্বাসনের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। বিশ্বের এ অস্থিতিশীলতা মোকাবিলা করে টেকসই শান্তি বাস্তবায়ন করতে চাইলে আন্তর্জাতিক সমাজের উচিত বিশ্ব নিরাপত্তা প্রস্তাব বাস্তবায়ন করা। তাতে পারস্পরিক সমঝোতা ও সম্মান করাসহ নানা বাস্তব কর্মকাণ্ড খুব গুরুত্বপূর্ণ। বিভিন্ন দেশের সার্বভৌমত্ব ও ভূখণ্ডের অখণ্ডতা রক্ষা করতে হবে এবং অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ না করা উচিত। সংলাপ ও বৈঠকের মাধ্যমে বিতর্ক ও মতভেদ দূর করতে হবে এবং শান্তিপূর্ণভাবে সংকট মোকাবিলার যে কোনো প্রচেষ্টাকে সমর্থন করতে হবে। বিভিন্ন দেশের উচিত একই নৌকায় চলে বিশ্ব ব্যবস্থা সুবিন্যস্ত করা এবং জিরো-সাম খেলা বাদ দেওয়ার পাশাপাশি বহুপক্ষবাদ এবং জাতিসংঘ-কেন্দ্রিক আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা ও আন্তর্জাতিক আইন-ভিত্তিক শৃঙ্খলা মেনে চলা।
বিশ্ব শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য এ প্রস্তাব উত্থাপিত হয়েছে। বিশ্ব শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষার জন্য উপযোগী এ প্রস্তাব। এ প্রস্তাব অবশ্যই আরও আন্তর্জাতিক শক্তিকে একত্রিত করে অস্থিতিশীল বিশ্বকে বিরল শান্তিপূর্ণ শক্তি যোগাবে এবং আরও নিরাপদ বিশ্ব গঠনে চীনের অবদান নিশ্চিত করবে।