বাংলা

সিপিসি’র স্থায়ী কমিটির বৈঠক ও চীনা অর্থনীতি

cmgPublished: 2022-08-03 16:49:06
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

এদিকে, সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতিমালা এমন হতে হবে যাতে ভোগের চাহিদা বাড়ে। মুদ্রানীতিকে ভোগ বাড়াতে কাজে লাগাতে হবে। ভোগ বৃদ্ধি অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির জন্য অত্যাবশ্যক। আর শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোকে ঋণ-সহায়তা বাড়াতে হবে।

বিদেশী গণমাধ্যমগুলো চীনের রিয়েল এস্টেট বাজারের ওপর দৃষ্টি নিবন্ধ রেখেছে। চলতি বছরের দ্বিতীয়ার্ধে রিয়েল এস্টেট বাজারকে স্থিতিশীল রাখা এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব রিয়েল এস্টেট বাজারকে স্বাভাবিক উন্নয়নের পথে ফিরিয়ে আনা গুরুত্ব পূর্ণ। এটা করা গেলে সামষ্টিক অর্থনীতিতে ও প্রত্যাশিত প্রবৃদ্ধি অর্জনের পথে নেতিবাচক বাধা কমে যাবে। এবারের সম্মেলনে রিয়েল এস্টেট বাজার স্থিতিশীল করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, আবাসনের চাহিদাও বাড়াতে হবে।

সম্মেলনে বলা হয়েছে, একটি সুষ্ঠু নীতি ও ব্যবস্থাপনার পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে, যাতে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর উন্নয়ন সম্ভব করা যায়। বিদেশী প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিনিয়োগ বাড়াতেও আগ্রহী করে তুলতে হবে।

চলতি বছরের প্রথমার্ধে ‘এক অঞ্চল, এক পথ’ উদ্যোগসংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সঙ্গে চীনের মোট বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৬.৩ ট্রিলিয়ন ইউয়ান, যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ১৭.৮ শতাংশ বেশি। ২০২২ সালের ২৫ই জুন চীনা নির্মাতা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক নির্মিত বাংলাদেশের পদ্মা সেতু আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হয়। বাংলাদেশের জনগণের জন্য এটি একটি স্বপ্নের সেতু। সেদেশের পরিবহনব্যবস্থা এ সেতুর মাধ্যমে অনেক উন্নত হয়েছে। ১৯শে জুলাই চীনের জাতীয় গণকংগ্রেসের স্ট্যাডিং কমিটির চেয়ারম্যান লি চান শু ও বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী এক বৈঠকে মিলিত হন। এতে বলা হয়, চীন ‘এক অঞ্চল, এক পথ’ উদ্যোগের আওতায় দু’দেশের উন্নয়ন-কৌশলকে সংযুক্ত করতে এবং বাংলাদেশকে ‘সোনার বাংলা’ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সহায়তা করতে ইচ্ছুক। দু’দেশ অবকাঠামো, আর্থ-বাণিজ্যিক, পরিষ্কার জ্বালানি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাতে সহযোগিতা ও বিনিময় জোরদার করবে বলেও এসময় উল্লেখ করা হয়।

বস্তুত, পরিবর্তিত বিশ্ব পরিস্থিতিতেও বৈশ্বিক অর্থনীতির পুনরুদ্ধারে চীনের ভূমিকার পরিবর্তন ঘটেনি। চীন এখনও বিশ্বের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির প্রধান চালিকাশক্তি। চীন অব্যাহতভাবে বৈদেশিক উন্মুক্তকরণ বাড়াবে এবং কার্যকরভাবে বহুপক্ষবাদ বাস্তবায়নের পক্ষে কাজ করে যাবে। চীন বিশ্বের অর্থনীতির সঙ্গে যোগাযোগ ঘনিষ্ঠতর করবে এবং বিশ্বের অর্থনীতিতে ইতিবাচক ভূমিকা রেখে যাবে, এ কথা বলাই বাহুল্য।

首页上一页12 2

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn