আজকের টপিক: কুয়াংতুং-হংকং-ম্যাকাও গ্রেটার বে গড়ে উঠছে দৃঢ়ভাবে
“২০১৭ সালের পয়লা জুলাই ‘কুয়াংতুং-হংকং-ম্যাকাও সহযোগিতা গভীর করাসংক্রান্ত নির্মাণকাঠামো চুক্তি’ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। এক বছর পর, তিনি চুহাই এসে ‘হংকং-কুয়াংতুং-ম্যাকাও মহাসেতু’ চালুর ঘোষণা দেন। ২০২০ সালের অক্টোবরে তিনি শেনচেন বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার ৪০তম বার্ষিকীর উদযাপনী অনুষ্ঠানে বলেন, ‘কুয়াংতুং-হংকং-ম্যাকাও গ্রেটার বে’ নির্মাণের এই প্রধান ঐতিহাসিক সুযোগটি কাজে লাগাতে হবে, যাতে তিনটি স্থানের অর্থনৈতিক উন্নয়নকে এগিয়ে নেওয়া যায়।”
কুয়াংতুং-শেনচেন দ্রুতগতির ট্রেন, হংকং-কুয়াংতুং-ম্যাকাও মহাসেতুসহ বড় আকারের অভ্যন্তরীণ অবকাঠামো নির্মাণের ফলে ‘কুয়াংতুং-হংকং-ম্যাকাও গ্রেটার বে’ সংশ্লিষ্ট শহরগুলোর মধ্যে যোগাযোগ ঘনিষ্ঠতর হয়েছে। ‘এক ঘন্টার পরিবহন বৃত্ত’ সৃষ্টি হয়েছে। ম্যাকাও-এর লাইসেন্স প্লেটের গাড়ি এখন ‘হেংছিনের’ রাস্তায় চলছে। লিয়াং চিয়া সি-র বাসা ম্যাকাও-এ। তিনি প্রতিদিন গাড়ি চালান হেংছিনে। তিনি বলেন,
“আমি এখন একটি একক-লাইসেন্সযুক্ত গাড়ি চালাই এবং কোম্পানিতে যেতে আমার মাত্র ২০ মিনিট সময় লাগে। ম্যাকাওয়ের কিছু লোকের চেয়েও আমি কম সময়ে অফিসে পৌঁছাই। মূল ভূখণ্ডের বাসিন্দাদের মতোই আমরা ম্যাকাও থেকে শুরু করে বৃহত্তর উপসাগরীয় অঞ্চলের যে-কোনো শহরে বসবাস করতে ইচ্ছুক।”
বৈজ্ঞানিক নব্যতাপ্রবর্তন থেকে সমন্বয় উন্নয়নের শিল্প ব্যবস্থা গড়ে তোলা পর্যন্ত ‘কুয়াংতুং-হংকং-ম্যাকাও গ্রেটার বে’-র আওতায় এই তিনটি স্থানের মধ্যে সহযোগিতা আরও মজবুত হয়েছে। বাজারের একীকরণের মান অব্যাহতভাবে উন্নত হয়েছে। এই সম্পর্কে হংকং বিশেষ প্রশাসিক আইন প্রণয়ন কমিটির সদস্য থান ইয়্যু হেং বলেন,
“বৃহত্তর উপসাগরীয় অঞ্চলের উন্নয়ন হংকংয়ের জন্য একটি অভূতপূর্ব সুযোগ। বৃহত্তর উপসাগরীয় অঞ্চল গড়ে তোলার মাধ্যমে হংকং আরও সুষ্ঠুভাবে দেশের জাতীয় উন্নয়নের সামগ্রিক পরিস্থিতির সাথে একাত্ম হতে পারবে।”
বিশ্ব মেধাস্বত্ব সংস্থার প্রকাশিত ‘বৈশ্বিক নব্যতাপ্রবর্তন সূচক রিপোর্ট, ২০২১’ –এ বলা হয়েছে, ‘শেনচেন-হংকং-কুয়াংচৌ’ অঞ্চল বিশ্বের ‘সেরা প্রযুক্তি ক্লাস্টার’ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।