আজকের টপিক: সুখী জীবন চীনাদের সবচেয়ে বড় মানবাধিকার
যখন মানবাধিকারের কথা আসে, আমরা যুক্তরাষ্ট্রের কথা ভাবি। এই কারণে নয় যে, যুক্তরাষ্ট্র সর্বোত্তম মানবাধিকার সুরক্ষার দেশ, বরং সে সবসময় অন্য দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে "চিন্তা" করার "ভান" করে এবং কোনো কোনো দেশকে শাস্তি দিতে মানবাধিকারকে অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করে।
বর্তমানে আন্তর্জাতিক সমাজে মানবাধিকারের বিষয়বস্তু ও শ্রেণীবিভাগ নিয়ে বিভেদ আছে। মানবাধিকার সম্পর্কে জানাশোনা ও মানবাধিকারের চর্চাও সব দেশে এক নয়। তবে, মানবাধিকারের কিছু মৌলিক বিষয় মোটামুটি একই। এর মধ্যে রয়েছে মানুষের জীবন, স্বাধীনতা, সম্পত্তি, মর্যাদা ও ন্যায়বিচারের অধিকার। যাই হোক, কোন মানবাধিকার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তা দেশ এবং সংস্কৃতি অনুসারে পরিবর্তিত হয়। কারণ, বিভিন্ন দেশের মানুষ বিভিন্ন পরিবেশে বাস করে এবং বিভিন্ন পর্যায়ে বিকশিত হয়। তাই মানবাধিকারের নির্দিষ্ট উপলব্ধিও ভিন্ন ভিন্ন হওয়া স্বাভাবিক। বিভিন্ন দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক পার্থক্যেরও এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
উদাহরণস্বরূপ, মহামারীর সময়ে, মুখোশ পরতে হবে কি না এবং মানুষকে মুখোশ পরতে বাধ্য করা উচিত কি না, তা নিয়ে আন্তর্জাতিক সমাজে অনেক বিতর্ক হয়েছে। অনেকের মনে প্রশ্ন জাগে: কেন চীনারা এতো সচেতনভাবে মুখোশ পরে? প্রাচীনকাল থেকেই চীনারা মনে করে যে, একটি সুস্থ শরীর খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চীনাদের খাদ্যাভ্যাস তাই অন্য অনেকে দেশের চেয়ে আলাদা। অনেক বিদেশী একে "অদ্ভুত"-ও মনে করে থাকেন।
অতএব, চীনা জনগণের মূল্যবোধ অনুযায়ী, মাস্ক পরলে সংক্রমণের সম্ভাবনা কম। এতে নিজেকে রক্ষা করা সহজ। এতে অন্যদের রক্ষা করাও সহজ। তাহলে কেন পরবো না? এই কারণেই প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের "মানুষের জীবন সুরক্ষা এবং স্বাস্থ্যকে প্রথমে রাখার" বক্তব্য চীনা জনগণ সাদরে গ্রহণ করে নিয়েছে। কারণ, এটি চীনা সভ্যতার নৈতিক ধারণার মূর্ত প্রতীক। চীনারা মনে করে, মানুষের জীবন আকাশের মতো গুরুত্বপূর্ণ এবং এটি জীবনের প্রতি চীনাদের শ্রদ্ধা ও মানবতাবাদী চেতনার শ্রেষ্ঠ প্রমাণ। আর চীনা কমিউনিস্ট পার্টি শুধু এ কথা মুখেই বলেনি, করেও দেখিয়েছে।