‘এক অঞ্চল, এক পথ’ উদ্যোগ বাংলাদেশের উন্নয়ন-স্বপ্ন পূরণে সাহায্য করছে
নীতিগত বিনিময় ক্ষেত্রে, চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং বাংলাদেশের নেতার সঙ্গে বার বার যোগাযোগের সময় উল্লেখ করেছিলেন যে, চীন ও বাংলাদেশ উভয়ে জনবহুল ও উন্নয়নশীল দেশ। দেশের অবস্থার অনেক মিল আছে, উন্নয়ন লক্ষ্যও একই। ‘সোনার বাংলার’ স্বপ্ন এবং চীনা জাতির মহান পুনরুত্থানের স্বপ্নের মধ্যেও মিল আছে। চীনের উত্থাপিত ‘এক অঞ্চল, এক পথ’ উদ্যোগ দু’দেশের উভয় কল্যাণকর সহযোগিতার জন্য নতুন সুযোগ সৃষ্টি করেছে। যা দু’দেশের সহযোগিতার জন্য দিকনির্দেশনা দিয়েছে এবং নীতিগত ভিত্তি স্থাপন করেছে। প্রেসিডেন্ট বলেছেন যে, দু’দেশের উচিত বাণিজ্যিক বিনিময় সম্প্রসারণ করা, অবকাঠামো, জ্বালানি ও বিদ্যুত্, সড়ক যোগাযোগ ও পরিবহন, তথ্য ও টেলিযোগাযোগ, কৃষিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প চালু করা।
বাংলাদেশের সুপ্রতিবেশী দেশ হিসেবে চীন সবসময় বাস্তব আচরণের মাধ্যমে নিজের প্রতিশ্রুতি পূরণ করছে, নিজেকে বাংলাদেশের নির্ভোরযোগ্য বন্ধু ও অংশীদারি হিসেবে প্রমাণ করেছে। ‘এক অঞ্চল, এক পথ’ উদ্যোগের আওতায়, পায়রা বিদ্যুত্ কেন্দ্র প্রকল্প পায়রা বন্দর উন্নয়নে নতুন শক্তি যোগাবে। বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় ডিজিটাল প্রকল্প ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ স্বপ্ন বাস্তবায়নে সাহায্য করছে। এসব প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশের অবকাঠামোর অনেক উন্নত হয়েছে।
বাণিজ্যিক খাতে, ২০২০ সালের জুলাই মাস থেকে ৯৭ শতাংশ বাংলাদেশি পণ্য চীনে রপ্তানির ক্ষেত্রে শুল্ক মওকুফ করা হয়েছে। চীনের বিশাল বাজার এবং সুবিধাজনক নীতির মাধ্যমে বাংলাদেশের রপ্তানি অনেক বেড়েছে। গত বছর দু’দেশের বাণিজ্যের পরিমাণ ২৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হয়েছে। যা ইতিহাসে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। বাংলাদেশে চীনের পুঁজি বিনিয়োগের পরিমাণ দ্রুত বাড়ছে, চীনা শিল্প-প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে বাজার নিয়ে খুব আশাবাদী।