‘বালির তরী’
‘ভুল যাত্রা’ এই চলচ্চিত্রে তাইওয়ানের একজন অভিজ্ঞ ও তার দত্তক কন্যার মর্মস্পর্শী গল্প বলা হয়। যা সমাজের নিম্ন পর্যায়ের মানুষের জীবনযাত্রার অবস্থা ও অনুভূতি তুলে ধরে এবং কঠিন পরিস্থিতিতে মানব প্রকৃতির সৌন্দর্য প্রকাশিত হয়েছে। চলচ্চিত্রের জন্য সু রুই গাওয়ার গানগুলো অনেক মানুষের একই অনুভূতি সৃষ্টি করেছে এবং পরে চীনা সংগীত মহলের ক্লাসিক গানে পরিণত হয়েছে। বন্ধুরা, এখন শুনুন এই চলচ্চিত্রের জন্য সু রুই’র গাওয়া সুন্দর গান ‘একই জ্যোৎস্না’।
‘ভুল যাত্রা’র পর সু রুই টানা কয়েকটি অ্যালবাম প্রকাশ করেন এবং সব ভালো সাড়া পান। তার গানগুলো চীনের তাইওয়ান, হংকং ও মূলভূখণ্ডে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়। তিনিও গত শতাব্দীর ৮০’র যুগে চীনের সবচেয়ে প্রভাবশালী গায়িকার অন্যতম। বন্ধুরা, পরের গানে আমরা শুনবো- ১৯৮৬ সালে চলচ্চিত্র ‘ড্রাগনের মন’-এর জন্য গাওয়া গান ‘কার ওপর নির্ভর করা যায়’। গানটি হংকং ও তাইওয়ানের অনেক পুরস্কার জয় করে। বন্ধুরা, এখন গানটি শুনি।
মিউজিক ক্যারিয়ারের উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে সু রুই’র সংগীতের শৈলী আরও বৈচিত্র্যময় হয়ে উঠেছে। শুরুর ব্লুজ ও সোল মিউজিক থেকে পপ, রক, জ্যাজ পর্যন্ত তিনি সব ভালো গাইতে পারেন। তিনিও বিভিন্ন দেশের সংগীতের উপাদান সংগ্রহণ করে নিজের গানে মিলিয়ে সুন্দর গান তৈরি করতে সক্ষম। বন্ধুরা, এখন আমরা একসঙ্গে শুনবো সু রুই ১৯৮৮ সালে প্রকাশিত জাপানি সংগীত উপাদান একত্রিত করার একটি গান ‘বালির তরী’।
সু রুই চীনা সংগীত জগতে একজন অনন্য প্রতিভাধর শিল্পী। তাঁর গান শুধু মাত্র মনোরঞ্জনই দেয় না, বরং জীবনের বিভিন্ন দিককে তুলে ধরে। বন্ধুরা, অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে আমরা একসঙ্গে তার আরেকটি সুন্দর গান ‘হাত ধরা’ শুনবো। আশা করি, আপনারা তার গানগুলো পছন্দ করবেন।
বন্ধুরা, আজকের অনুষ্ঠান তাহলে এখানেই শেষ করছি। আশা করি, আমাদের অনুষ্ঠানে প্রচারিত গানগুলো আপনাদের ভালো লেগেছে। এখন বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকুন, সুন্দর থাকুন ও সুস্থ থাকুন। আবার কথা হবে। চাই চিয়ান।