‘বিচ্ছিন্ন করতে পারে না’
১৯৭৮ সালে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হওয়ার পর ছেন মেই লিং হংকং ও শোবিজে ফিরে যান। পরের বছরে তিনি তার প্রথম ক্যান্টনিজ গান ‘বৃষ্টিতে কার্নেশন’ প্রকাশ করেন। অ্যালবামের প্রধান গান ‘বৃষ্টিতে কার্নেশন’ হংকংয়ে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়। পরে তিনি আরও কিছু ক্যান্টনিজ অ্যালবাম প্রকাশ করেন এবং সবগুলোই বেশ ভালো সাড়া পায়। ১৯৮৩ সালে ছেন মেই লিং চীনের সংগীতের শ্রেষ্ঠ পুরস্কার ‘গোল্ডেন অ্যালবাম পুরস্কার’ অর্জন করেন, হংকং এবং চীনের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও প্রতিনিধিত্বকারী গায়িকা হয়ে ওঠেন। বন্ধুরা, এখন শুনুন ছেন মেই লিংয়ের একটি জনপ্রিয় গান ‘বৃষ্টিতে কার্নেশন’।
১৯৮৬ সালে ছেন মেই লিং বিয়ে করেন এবং একটি ছেলে সন্তান জন্ম দেন। কাজের জন্য তাকে সন্তান নিয়ে বিভিন্ন দেশে পারফর্ম করতে হয়। সে সময়ে নারীদের বিষয়ে জাপানের সাধারণ ধারণা ছিল- সন্তান নিয়ে বাইরে কাজ করার চেয়ে বিয়ের পর বাড়িতে স্বামী ও সন্তানের যত্ন নেওয়া উচিত। তাই তার আচরণ জাপানে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি করে। তিনি ভাবেন, কেন নারীদের এত বেশি লিঙ্গ বৈষম্য সহ্য করতে হয়? এ সমস্যার কারণ খোঁজার জন্য ছেন মেই লিং স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে লিঙ্গ সমস্যা নিয়ে গবেষণা করেন। ৪ বছর পর তিনি পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন। তিনি লিঙ্গ সমতা প্রচার করেন এবং অনেক নারী এতে উত্সাহিত হয়। বন্ধুরা, এখন শুনুন ছেন মেই লিংয়ের গাওয়া উত্সাহপূর্ণ গান ‘Everything Must Change’।
২০০৬ সালে ছেন মেই লিং আনুষ্ঠানিকভাবে শোবিজ ছেড়ে দেন। পরে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হিসেবে কাজ শুরু করেন এবং কয়েকটি বই প্রকাশ করেন। বন্ধুরা, অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে আমরা একসঙ্গে ছেন মেই লিংয়ের আরেকটি সুন্দর গান ‘সবচেয়ে সুন্দর সময় স্মৃতিতে রাখুন’ শুনবো। আশা করি, আপনারা তার গানগুলো পছন্দ করবেন।
বন্ধুরা, আজকের অনুষ্ঠান তাহলে এখানেই শেষ করছি। আশা করি, আমাদের অনুষ্ঠানে প্রচারিত গানগুলো আপনাদের ভালো লেগেছে। এখন বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকুন, সুন্দর থাকুন ও সুস্থ থাকুন। আবার কথা হবে। চাই চিয়ান।