হাই মিংওয়ে
হাই মিংওয়ের আগের নাম ছিল ছাও কুয়াংহাই। ১৯৮২ সালের ১০ জুলাই তিনি চীনের কুয়াংতোং প্রদেশের রাজধানী কুয়াংচৌ শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি চীনের মূল-ভূখণ্ডের একজন কণ্ঠশিল্পী। তিনি চীনের যোগাযোগ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হন।
১৯৯৬ সালে ১৪ বছর বয়সী হাই মিংওয়ে অবসর সময়ে কুয়াংচৌয়ের একটি নৃত্যশালায় নাচতে শুরু করেন। সেখানে হংকংয়ের একজন শিল্পী তাঁকে আবিষ্কার করেন। হংকংয়ের ওই শিল্পী হাই মিংওয়েকে শেনজেন ও হংকংয়ে নিয়ে শিল্পী হিসেবে গড়ে তুলেন। পরে হাই মিংওয়ে একজন নৃত্য শিল্পীতে পরিণত হয়ে শোবিজে ক্যারিয়ার শুরু করেন।
বন্ধুরা, হাই মিংওয়ে’র আরও গল্প আমি পরে আপনাদেরকে শোনাব। তবে তার আগে আপনাদেরকে তাঁর একটি গান শোনাতে চাই। এ গানের নাম ‘একজনের কুয়াংচৌ’। শুনুন তাহলে গানটি।
২০০১ সালে হাই মিংওয়ে তাঁর সঙ্গীত স্বপ্ন নিয়ে কুয়াংচৌ থেকে উত্তর চীনে যান। প্রায় দশ বছরের মধ্যে তিনি অন্য গায়ক-গায়িকাদের জন্য নাচ করেছেন, সব ধরনের পর্দার আড়ালের কাজ করেছেন। তারপর পর্দার আড়াল থেকে মঞ্চের সামনে এসে একজন গায়ক হন। ২০০৬ সালের সেপ্টেম্বরে তিনি “সিসিটিভি স্বপ্ন চীন” নামক প্রতিযোগিতার রানার্স-আপ হন। তারপর তিনি ইইজি রেকর্ড কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেন। ২০০৭ সালের ১৯ মে তিনি “ট্রিপল ড্যান্স” নামক অ্যালবাম প্রকাশ করেন। অ্যালবামে তিনি প্রথমবারের মতো গান রচনার চেষ্টা করেন এবং নিজের প্রথম শিল্প-কর্ম “দ্য ওল্ড ম্যান অ্যান্ড দ্য সি” লিখেন।
বন্ধুরা, এখন আমি আপনাদেরকে হাই মিংওয়ে’র “দ্য ওল্ড ম্যান অ্যান্ড দ্য সি” গানটি শোনাতে চাই। সেসঙ্গে শোনাব অ্যালবামের শিরোনাম সংগীত “ট্রিপল ড্যান্স”। শুনুন তাহলে গান দু’টি।
২০০৮ সালের অগাস্টে হাই মিংওয়ে একটি নৃত্য ইপি প্রকাশ করেন। পয়লা অগাস্ট তিনি “ঝরাপাতা” নামক একক গান প্রকাশ করেন।