‘দেবদূত’
একই বছর ট্যাংক তার প্রথম অ্যালবাম ‘Fighting’ প্রকাশ করে। অ্যালবামের ১৪টি গান সব তিনি নিজে রচনা করেছেন। গানগুলোর মধ্যে হিপ-হপ, R&B, রকসহ বিভিন্ন শৈলী আছে। বন্ধুত্ব, ভালোবাসা ও স্বপ্ন তার গানের প্রধান বিষয়। তাই তরুণরা তার গান অনেক পছন্দ করে। সে বছর তার অ্যালবামের প্রায় এক লাখ কপি বিক্রি হয়, এটি তাইওয়ানের শীর্ষ বিক্রি হওয়া অ্যালবামে পরিণত হয়। এই অ্যালবামের জন্য ট্যাংক ২০০৬ সালে বিভিন্ন সংগীত অ্যাওয়ার্ডের ‘শ্রেষ্ঠ নতুন গায়ক’ পুরস্কার অর্জন করেন। ‘একা প্রেমের গান গাই’ গানটিও ‘সবচেয়ে জনপ্রিয় গান’ পুরস্কার পায়। বন্ধুরা, এখন শুনবেন সুন্দর প্রেমের গান। গান ৩
২০০৭ সালে ট্যাংক তার দ্বিতীয় অ্যালবাম প্রকাশ করেন। অ্যালবামের সব গান তিনি নিজে তৈরি করেছেন। তার শ্রোতা ও ফ্যানদের উত্সাহিত করার জন্য অ্যালবাম নাম ‘Keep Fighting’ দিয়েছেন তিনি। অ্যালবামের অধিকাংশ গানের পেছনে বাস্তব ঘটনার অনুপ্রেরণা রয়েছে। ট্যাংক সংগীতের মাধ্যমে জীবন সম্পর্কে ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেন। তাই তার গান শুনে ইতিবাচক শক্তি পাওয়া যায়।
এখন শুনবো তার গান ‘দেবদূত’। গান ৪
যখন সবাই ভাবছে ট্যাংকের সংগীত জীবন আরো উজ্জ্বল হতে যাচ্ছে, তখন তার এক দুর্ঘটনা ঘটে! ট্যাংক আসলে জন্মাবধি হৃদরোগে ভুগছিলেন! দ্বিতীয় অ্যালবাম প্রচারের সময় তার হৃদযন্ত্রে সমস্যা দেখা দেয়। তাকে সব কাজ বন্ধ করে চিকিৎসা নিতে হয়।দুবছর বিশ্রাম নেন তিনি। এরপর আবার আগের ধারায় ফিরে আসেন ট্যাংক। ২০০৯ সালে তিনি তৃতীয় অ্যালবাম প্রকাশ করেন। হৃদরোগে আক্রান্ত হলে জীবন ও প্রাণের প্রতি তার বিভিন্ন অনুভূতি তৈরি হয়। আর এসব অনুভূতি তিনি গানের মাধ্যমে প্রকাশ করেন।যদি আমি স্মৃতি হয়ে যাই’ তার অ্যালবামের একটি গান। যদি হঠাত্ একদিন মারা যাই, তাহলে প্রিয় মানুষকে কি কি বলবো?গানের কথায় তিনি লিখেছেন, যদি আমি স্মৃতি হয়ে যাই, আশা করি তুমি ভালো থাকবে। পৃথিবীর যে সৌন্দর্য আমি দেখি না, তুমি তা দেখতে পাবে। এই গানের মাধ্যমে তিনি জীবনের মূল্য সবাইকে বোঝাতে চেয়েছেন। এই গানটি সেই বছরের ‘শ্রেষ্ঠ গানে’র পুরস্কার পায়। চলুন শুনি গানটি। গান ৫