চিনুও পাহাড় উন্নয়নের গল্প
স্থানীয় যুবক মু লা ছিয়ে হাইস্কুল থেকে স্নাতক হওয়ার পর খুনমিংয়ে কাজ করতেন। ২০২১ সালে তিনি চিনুও পাহাড়ে ফিরে আসেন। যথাযথ প্রশিক্ষণ নেওয়ার পর, তিনি স্থানীয় প্রথম দফা রেইনফরেস্ট ওয়াকিং ট্যুর গাইডের একজন হয়েছেন। তিনি বলেন, “আমি নিজের জন্মস্থানে, পর্যটকদেরকে রেইনফরেস্টের সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে পেরে গর্ব করি।”
মু লা ছিয়ে’র বাড়ি চিনুও পাহাড় থানার পাতুও গ্রামে। এটি চিনুও নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীর একটি ঐতিহ্যবাহী গ্রাম, যার চারপাশে ঘন বন ও প্রস্ফুটিত ফুলে ঘেরা। গ্রামটির বাড়িঘর ও সড়কসহ অবকাঠামোব্যবস্থা উন্নত। মু লা ছিয়ে আবিষ্কার করেন যে, পর্যটকরা চা ছাড়াও কফি খেতে পছন্দ করেন। সেজন্য তিনি যুব-উদ্যোক্তা ঋণের জন্য আবেদন করেন। পরে তিনি পরিবারের পুরাতন বাড়িকে একটি কফিশপে রূপান্তর করেন। তিনি প্রতিদিন গড়ে ৮০ কাপ কফি বিক্রয় করেন। মু লা ছিয়ে বলেন, “বর্তমানে আমার পিতা ট্যুর গাইডের কাজ করেন এবং আমার মাতা রেস্তোরাঁয় কাজ করেন। আমাদের আয় অনেক বেড়েছে।”
পাতুও গ্রামের সিপিসি’র কমিটির সম্পাদক ছিয়ে ইয়াও সাংবাদিককে জানান, স্থানীয় বাসিন্দারা নিজেদের জন্মস্থান সুন্দর করে নির্মাণ করার জন্য অবদান রাখছেন। ২০২৩ সালে পাতুও গ্রামে আসা পর্যটকের সংখ্যা ৪০ হাজার ছিল। পর্যটন শিল্পের আয় গত বছর আগের চেয়ে ৩.৬ লাখ ইউয়ান বেশি ছিল। এ ছাড়া, রাবার, চা ও ফল শিল্প উন্নয়নের মাধ্যমে গ্রামটির মাথাপিছু নিষ্পত্তিযোগ্য আয় ৩০ হাজার ইউয়ানে পৌঁছেছে।
সবুজ পাহাড় ও পানি হলো সোনা ও রূপার পাহাড়। রেইনফরেস্টের পরিবেশ সুরক্ষার পাশাপাশি, পর্যটন শিল্প উন্নয়নের মাধ্যমে, চিনুও জাতির মানুষের জীবন আরও সুন্দর হয়েছে।