রাকোতোয়ারিভোনি মামিসোয়ার চীনের গল্প
কয়েক বছর আগেও, মাদাগাস্কারের যুবক রাকোতোয়ারিভোনি মামিসোয়া কল্পনাও করেননি যে, তিনি একদিন চীনে আসবেন। চীনা ঐতিহ্যবাহী লোকশিল্পের গভীর প্রেমিক হয়ে উঠবেন—এমনটাও তার কল্পনায় ছিল না। আর, বর্তমানে তিনি বেইজিং ফরেন স্টাডিজ ইউনিভার্সিটির একজন শিক্ষক। আজকের অনুষ্ঠানে আমি মামিসোয়ার চীনের গল্প তুলে ধরবো।
মামিসোয়ার চীনা নাম থাং লেই। তিনি ২০১৬ সালে চীনে আসেন। চীনে আসার পর তিনি প্রথম যান থিয়ানচিন। তিনি তখন থিয়ানচিন নর্মাল বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করতেন। সেখানে তিনি ঐতিহ্যবাহী চীনা লোকশিল্পের সাথে পরিচিত হন। তিনি বলেন, এটি ছিল তাঁর চীনকে বোঝার একটি উপায়।
তিনি বলেন, ঐতিহ্যবাহী চীনা লোকশিল্প শেখা সহজ কাজ নয়। তিনি প্রথমে শিক্ষকদের কাছ থেকে মৌলিক দক্ষতা শেখেন। পাশাপাশি, তাঁর চীনা ভাষার মানও উন্নত করেন।
তিনি বলেন, ঐতিহ্যবাহী চীনা লোকশিল্প শেখার মাধ্যমে তিনি চীনা সংস্কৃতি ও অনেক রীতিনীতি সম্পর্কে জেনেছেন। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হওয়ার পর, ২০২২ সালে তিনি বেইজিং ফরেন স্টাডিজ ইউনিভার্সিটির মালাগাসি ভাষা বিভাগের শিক্ষকের কাজ পান।
বেইজিং ফরেন স্টাডিজ ইউনিভার্সিটির মালাগাসি বিভাগ ২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। মামিসোয়া বলেন, এখন অনেক বেশি আফ্রিকান মানুষ চীনা ভাষা শিখছেন এবং আরও বেশি চীনা মানুষ আফ্রিকান ভাষা শিখছেন। চীন ও আফ্রিকার জনগণ পর্যায়ের যোগাযোগ দিন দিনি ঘনিষ্ঠ থেকে ঘনিষ্ঠতর হচ্ছে। এখানকার শিক্ষার্থীরা খুবই পরিশ্রমী।
২০২৩ সালের দ্বিতীয়ার্ধে মামিসোয়ার শিক্ষার্থীরা তাঁর নেতৃত্বে মাদাগাস্কারে কয়েক মাসের মতো লেখাপড়া করে। তিনি শিক্ষার্থীদের নিয়ে নিজের বাড়িতে যান এবং নিজের পরিবারের সদস্য ও বন্ধুদেরের সঙ্গে তাদের পরিচয় করিয়ে দেন। তিনি বলেন, তাঁর পরিবারের সদস্য ও বন্ধুরা অবাক হয়েছিলেন এই ভেবে যে, চীনা মানুষও মালাগাসি শেখে! তাঁর মনে হয়, তরুণ-তরুণীরা হবে চীন-আফ্রিকা যোগাযোগের ভবিষ্যতের সেতু। আর এ কারণেই তাঁর কাজ খুব অর্থপূর্ণ।