‘এক অঞ্চল এক পথ উদ্যোগে’র মাধ্যমে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়নে সহায়তা করছে চীন
স্থানীয় কৃষক ফজলার বলেন, “এটা চমত্কার যে আমাদের এখানে একটি ফটোভোলটাইক পাওয়ার স্টেশন আছে। এর আগে এ অঞ্চলের বিদ্যুৎ সরবরাহ খুব সীমিত ছিল এবং প্রায় বিভ্রাট ঘটতো। এখন ফটোভোলটাইক পাওয়ার স্টেশন থাকার কারণে বিদ্যুত সরবরাহ স্থিতিশীল হয়েছে।”
ফজলার বলেন, বিদ্যুৎ কেন্দ্র শুধুমাত্র স্থানীয় এলাকায় বিদ্যুৎ নিয়ে আসে না, এটি নগরায়নের মাত্রাও উন্নত করে। এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কারণে, লোকেরা আশেপাশের এলাকায় কৃষিকাজ ও ব্যবসা করতে শুরু করে। একটি সাধারণ ছোট গ্রামকে একটি শহরে পরিণত করে। স্থানীয় মানুষের আয় বৃদ্ধি পেয়েছে এবং জীবন আরও সুবিধাজনক হয়ে উঠেছে।
বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলের একটি শহর কক্সবাজারে, বাংলাদেশের প্রথম কেন্দ্রীভূত বায়ু বিদ্যুৎ প্রকল্পের ২২টি বায়ু টারবাইন বাতাসে ঘুরছে।
এই প্রকল্পটিতে চায়না স্টেট পাওয়ার ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশনের উলিং ইলেকট্রিক পাওয়ার কোং লিমিটেড বিনিয়োগ করেছে এবং চীনের পাওয়ার কনস্ট্রাকশন কর্পোরেশনের চায়না ছেংতু সার্ভে ডিজাইন অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট কোং লিমিটেড এর প্রধান ঠিকাদার। ২০২৩ সালের অক্টোবরে এটি চালু হওয়ার পর থেকে, প্রকল্পটি প্রায় ৮০ মিলিয়ন কিলোওয়াট/ঘন্টা ক্রমবর্ধমান বিদ্যুৎ উত্পাদন করেছে। এটি প্রতি বছর ১৪৫ মিলিয়ন কিলোওয়াট-ঘন্টা সবুজ বিদ্যুৎ সরবরাহ করে এবং ১ লাখ পরিবারের বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে পারে। এটি ৪৪ হাজার ৬০০ টন কয়লা ব্যবহার কমিয়েছে এবং কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমন এক লাখ টনের বেশি কমিয়ে দেবে বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রকল্পের একজন বাংলাদেশি প্রকৌশলী আলম বলেন, বায়ু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রতিটি উইন্ড টারবাইন সর্বাধুনিক চীনা প্রযুক্তি গ্রহণ করে এবং প্রতি সেকেন্ডে ৫.২ মিটার পর্যন্ত বাতাসের গতি সহজেই মোকাবেলা করতে পারে। অধিকন্তু, টাওয়ার এবং টারবাইনের বর্তমান স্থাপনা নিশ্চিত করে যে, স্থানীয় কৃষকদের কৃষিকাজ এবং লবণ চাষীদের লবণ শুকানোর ক্ষেত্রে এতে কোনো প্রভাব পড়বে না।