চীনা প্রতিষ্ঠানের তৈরি লেসোথোর জল পরিবহণ টানেল নির্মাণ প্রকল্প
লেসোথো আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলের অভ্যন্তরীণ এলাকায় অবস্থিত। সমুদ্র থেকে দেশটির উচ্চতা ১ হাজার মিটারের বেশি। তাই দেশটিকে ‘পাহাড়ের রাজ্য’ ও ‘আকাশের রাজ্য’ বলা হয়। দেশটির সম্পদ তুলনামূলকভাবে দুষ্প্রাপ্য ও অবকাঠামো নির্মাণে জরুরি সহায়তা প্রয়োজন। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীন লেসোথোকে অবকাঠামো নির্মাণে সহায়তা করে আসছে। আজকের অনুষ্ঠানে আমি এ বিষয়টি তুলে ধরবো।
লেসোথোর পার্বত্য অঞ্চলের জল প্রকল্প হলো দেশটি ও দক্ষিণ আফ্রিকার মাঝখানে বৃহত্তম দ্বিপক্ষীয় অবকাঠামো প্রকল্প। প্রকল্পটি মোট চার দফায় তৈরি হচ্ছে। প্রকল্পটি লেসোথোর পর্বত থেকে দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রচুর পানি সম্পদ সরিয়ে নেওয়ার জন্য টানেল ও বাঁধের একটি জটিল হাব তৈরি করার পরিকল্পনা করেছে। এর মধ্যে পোলিহালি জল পরিবহন টানেল লেসোথো হাইল্যান্ডসে জল সরবরাহ প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রধান প্রকল্প। চীনের জল-সম্পদ ও জলবিদ্যুত্ ১১নম্বর ব্যুরোর উদ্যোগে ৩নম্বর ব্যুরো ও দক্ষিণ আফ্রিকার স্থানীয় কোম্পানি যৌথভাবে প্রকল্পটি নির্মাণ করেছে।
জল পরিবহণ টানেলের মোট দৈর্ঘ্য ৩৮ কিলোমিটার। এর ‘দীর্ঘ দূরত্ব, ছোট ক্রস-সেকশন, অত্যন্ত কঠিন শিলা, বৃহৎ গভীরতা, জটিল ভূতত্ত্ব এবং উন্নত প্রযুক্তির’ বৈশিষ্ট্য রয়েছে।
প্রকল্প নির্মাণকারী পক্ষগুলো সম্পদের পূর্ণ ব্যবহার করার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ব্যবস্থাপনার সুবিধা উন্নীত করেছে। সুইজারল্যান্ড, ব্রিটেন, তুরস্ক, মিশর, দক্ষিণ আফ্রিকা ও নেপালসহ ১৩টি দেশের বিশেষজ্ঞ ও উচ্চপদস্থ পরিচালক নির্মাণে অংশগ্রহণ করেছেন। প্রকল্প বিভাগের জনৈক চীনা প্রকৌশলী বলেন,
প্রকল্পটির কর্মীরা প্রধানত লেসোথো ও দক্ষিণ আফ্রিকার মানুষ। স্থানীয় সরবরাহকারীদের কাছ থেকে কাঁচামাল কেনা হয়। চীনা ও বিদেশি কর্মচারীদের বিনামূল্যে মৌলিক চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের জন্য স্থানীয় পেশাদার চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। স্থানীয় ও দক্ষিণ আফ্রিকার প্রশিক্ষণ সংস্থাগুলোকে নিয়োগ করে স্থানীয় কর্মীদেরকে কাজের ধরন, স্তর ও ক্ষেত্র অনুসারে দক্ষতা স্তর ও পরিচালনার প্রশিক্ষণ দেয়। সার্বিকভাবে স্থানীয় মেধাবীদের দক্ষতার মান এবং ক্ষুদ্র ও ছোট উদ্যোগের চুক্তি সম্পাদনের ক্ষমতা ব্যাপকভাবে উন্নত হয়েছে।