‘মাখারুফেং’ বা মাখারু পর্বতশিখর
এ অনুষ্ঠানে আমরা পালাক্রমে সিনচিয়াং ও সিচাং-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করে থাকি। আশা করি, এর মাধ্যমে শ্রোতারা চীনের সুন্দর সিনচিয়াং ও সুন্দর সিচাং সম্পর্কে আরও ভালো ধারণা পাচ্ছেন। তাহলে দেরি না করে শুরু করি আমাদের আজকের অনুষ্ঠান। আজকে আমরা সিচাং নিয়ে কথা বলব।
‘মাখারুফেং’ বা মাখারু পর্বতশিখরের উচ্চতা ৮৪৬৩ মিটার। এটি হিমালয়ের মাঝখানে অবস্থিত। বিশ্বে পঞ্চম সর্বোচ্চ শিখর এটি। উত্তর-পশ্চিম থেকে দেখলে, এটি এভারেস্ট পর্বত থেকে একটি সরলরেখায় মাত্র ২৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। উত্তর-পশ্চিম পর্বত এবং দক্ষিণ-পূর্ব পর্বত বরাবর, মাকালু উত্তরে চীন ও দক্ষিণে নেপালের সীমান্তবর্তী।
এই লম্বা তুষারশিখর সারাবছর তুষারে আচ্ছাদিত থাকে। এর উপত্যকায় অনেক বিশাল হিমবাহ রয়েছে। কিছু বড় ও ছোট বরফ ফাটল তুষার অতল গহ্বরের মতো ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। কিছু জেগড বরফ ফাটল ক্লিফের সাথে জড়িত, যা নেকড়ের দাঁতের মতো ভয়ঙ্কর। এই তুষারশিখরের পাঁচটি শাখা শিখর রয়েছে: উত্তর-পশ্চিম রিজ, দক্ষিণ-পশ্চিম রিজ, উত্তর-পূর্ব রিজ, দক্ষিণ-পূর্ব রিজ, এবং উত্তর রিজ। দক্ষিণ-পূর্ব রিজ সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৮০১০ মিটার উঁচুতে অবস্থিত, উত্তর রিজ সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৭৮১৬ মিটার উঁচুতে অবস্থিত, এবং উত্তর-পশ্চিম রিজ সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৭৬৪০ মিটার উঁচু।
‘মাখারুফেং’ শিখরের জলবায়ু জটিল ও আনপ্রেডিক্টিবল। প্রতিবছর জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত, এখানে ব্যাপক বৃষ্টিপাত হয়। তুষারপাতের ঘটনাও এন্তার। পরের বছরের নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তাপমাত্রা অনেক হ্রাস পায়। তখন শিখরে তাপমাত্রা মাইনাস ষাট ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে যেতে পারে এবং বাতাসের গতি হতে পারে সেকেন্ডে ৯০ মিটার। কেবল এপ্রিল ও মে এবং সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরের মধ্যে, বেশ কয়েকটি দিন ভালো আবহাওয়া থাকে। অনেক পর্বতারোহী সেই সময়ে ‘মাখারুফেং’ বা মাখারু পর্বতশিখরে পা রাখতে আরোহণের কাজ শুরু করেন।