বাংলা

সিচাংয়ের অধিবাসীদের খাদ্য-শিষ্টাচার

CMGPublished: 2024-01-12 12:11:01
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

এ অনুষ্ঠানে আমরা পালাক্রমে সিনচিয়াং ও সিজাং সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করে থাকি। আশা করি, এর মাধ্যমে শ্রোতারা চীনের সুন্দর সিনচিয়াং ও সুন্দর সিচাং সম্পর্কে আরও ভালো ধারণা পাচ্ছেন। তাহলে দেরি না করে শুরু করি আমাদের আজকের অনুষ্ঠান। আজকে আমরা সিচাং বা তিব্বত নিয়ে কথা বলব।

সিচাং বা তিব্বতের লোকেরা শিষ্টাচারের প্রতি খুব মনোযোগ দেয়৷ বড় ভোজ বা ছোট পারিবারিক ভোজ, যা-ই হোক না কেন, খাওয়ার সময় একটি চমত্কার পরিবেশ তাদের চাই-ই চাই। খাদ্যের ব্যাপারে তাদের মধ্যে কিছু ট্যাবুও প্রচলিত আছে।

ঘোড়া, গাধা বা কুকুরের মাংস নিষিদ্ধ

তিব্বতি খাদ্যতালিকায় ঘোড়া, গাধা বা কুকুরের মাংস থাকবে না। এ সব প্রাণী হত্যা পাপ। তিব্বতিরা বিশ্বাস করে যে, এ ধরনের প্রাণী হত্যা করলে স্বর্গে যাওয়া যাবে না।

মাছ নেই

তিব্বতি জনগণের খাদ্যতালিকায় মাছও পাওয়া যাবে না। মাছ নিষিদ্ধ। আগে তিব্বতে মানুষ মাছ খেতো না; সাপ, ব্যাঙ এবং অন্যান্য প্রাণী স্পর্শ করতো না এই বিশ্বাস থেকে যে, এই প্রাণীগুলো ড্রাগন দেবতার পোষা প্রাণী।

চপস্টিক দিয়ে শব্দ করা যাবে না

তিব্বতিরা খাওয়ার সময় চপস্টিক দিয়ে শব্দ করাকে অসম্মানজনক বলে বিবেচনা করে। উপরন্তু, আপনি যদি বাটি বা চায়ের কাপে চপস্টিক দিয়ে আঘাত করেন এবং শব্দ সৃষ্টি করেন, তবে তা বৌদ্ধ সংস্কৃতির প্রতি অসম্মানজনক বলে বিবেচিত হবে।

এক হাত দিয়ে খাবার দেওয়া যাবে না

অন্যের প্লেটে খাবার তুলে দেওয়ার সময় অবশ্যই এক হাত দিয়ে তা করা যাবে না, সম্মানের সাথে দু’হাত ব্যবহার করতে হবে। এক হাত ব্যবহার করার অর্থ আপনি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে অসম্মান করলেন।

চুলার উপর দিয়ে যাওয়া নিষিদ্ধ

তিব্বতে আগুনের চুলার উপর দিয়ে যাওয়া নিষিদ্ধ। কারণ, আগুনের চুলা আগুনের ঈশ্বরের বাসস্থানের প্রতীক। আপনি যদি আগুনের চুলার উপর পা রাখেন তবে সেটা হবে রান্নাঘরের ঈশ্বরকে অপমান করার সামিল।

12全文 2 下一页

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn