তরুণ কৃষক চাং ইউ হাও ও তার গল্প
ছিনলিং পর্বতের নিচে অবস্থিত সিআন শহরের হুই এলাকার হুয়াসি গ্রামে প্রায় ২ হেক্টর আয়তনের আঙ্গুর-বাগান রয়েছে। বাগানটির মালিক হলেন একজন তরুণ, তাঁর নাম চাং ইউ হাও। তাঁর বয়স এখনও ৩০ বছর হয়নি। বাগানে ফসল হয়েছে। আজকের অনুষ্ঠানে আমি চাং ইউ হাও-এর গল্প তুলে ধরবো।
চাং ইউ হাও ছিনলিং পর্বতের নিচে আঙ্গুর চাষ করছেন পাঁচ বছর ধরে। চমত্কার জলবায়ুর কারণে ছিনলিং পর্বতের উত্তর দিকে চাষ করা আঙ্গুর ফল মোটা ও মিষ্টি। এটি হুই এলাকার তারকা কৃষিপণ্য।
২০১৬ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়ার সময় চাং ইউ হাও ব্যবসার সুযোগ অন্বেষণ করছিলেন। তিনি সহপাঠীদের কাছে স্থানীয় কৃষকদের চাষকৃত আঙ্গুর বিক্রয় করেছেন। এর মাধ্যমে তিনি জীবনের ‘প্রথম সোনার পাত্র’ অর্জন করেন।
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হওয়ার পর তিনি সিনআন শহরে কাজ করেন। তবে, তিনি সবসময় আঙ্গুর বাগান ও স্থানীয় কৃষকদের কথা ভাবতেন। সেজন্য তিনি শহরের কাজ ত্যাগ করে আঙ্গুর চাষের কাজ শুরু করেন। ২০১৮ সালে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহপাঠীদের সঙ্গে হুই এলাকা যুবক চাষ ও পালন পেশাদার সমবায় প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁরা গ্রামের সাথে ৩০ একরের বেশি জমির চুক্তি করেন।
আসলে চাং ইউ হাও গ্রামে বড় হয়েছেন। কিন্তু আঙ্গুর চাষ করার প্রথম বছরে বেশি বৃষ্টিতে তাঁদের কোনো ফসল হয়নি। পরে তাঁরা স্থানীয় কৃষি ব্যুরোর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। তাঁরা সিনিয়র কৃষক ও বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে চাষের কলাকৌশল শেখেন। এ ছাড়া, তাঁরা ইন্টারনেট থেকে অনেককিছু শিখেছেন। তখন থেকে চাং ইউ হাও প্রতিদিন বাগানেই কাটান। বর্তমানে তাঁদের বাগানে প্রতিবছর ফসল হয়। তাঁরা অন্যান্য কৃষকের সাথে নিজেদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন।
আগে গ্রামটির কৃষকরা নিজেদের চাষকৃত আঙ্গুর গ্রামের বাইরে সড়কে বিক্রয় করতেন অথবা ব্যবসায়ীদের জন্য অপেক্ষা করতেন। সেজন্য আগে আঙ্গুরের দাম খুবই কম ছিল। আঙ্গুরের দাম বৃদ্ধি করা ছিল চাং ইউ হাও ও তাঁর গ্রুপের তখনকার সম্মুখীন একটি সমস্যা।