পিনহাই চংকুয়ানছুন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এলাকা
থিয়ানচিন পিনহাই চংকুয়ানছুন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এলাকা পিনহাই নতুন এলাকার পেইথাং এলাকায় অবস্থিত। বেইজিং দক্ষিণ ট্রেন স্টেশন থেকে সেখানে যেতে দ্রুতগতির ট্রেনে প্রায় এক ঘন্টা লাগে। ২০১৬ সালের নভেম্বর মাস থেকে মাত্র দুই বছরে এলাকায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাতে নিবন্ধিত শিল্পপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা এক হাজার ছাড়িয়ে গেছে এবং এসব শিল্পপ্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ হয়েছে ১০.৯ বিলিয়ন ইউয়ানের বেশি।
পিনহাই চংকুয়ানছুন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এলাকা অবস্থিত পেইথাংয়ের তিনটি নদীর সংযোগস্থলে। পশ্চিমাঞ্চলে সংরক্ষণাগার এবং বনপার্ক রয়েছে, পরিবেশ খুবই সুন্দর ও আরামদায়ক। কিন্তু প্রায় দশ বছর আগে এটি একটি ছোট মাছ ধরার গ্রাম ছিল। থিয়ানচিন পিনহাই চংকুয়ানছুন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এলাকা পরিচালনা কমিশনের বিনিয়োগ ও ত্বরান্বিত ব্যুরোর পরিচালক ওয়াং স্যিয়াও ওয়েই বলেন, ২০০৮ সাল থেকে বিভিন্ন সরকারি বিভাগের প্রচেষ্টায় পেইথাংয়ে পরিবর্তন এসেছে। এলাকাটি এখন পিনহাই নতুন এলাকা উন্নয়নের টেমপ্লেটে পরিণত হয়েছে। পেইথাং প্রাচীন থানাসহ ঐতিহাসিক জায়গা রক্ষা ছাড়াও এটি বাসযোগ্য এবং কর্মসংস্থান ও উদ্যোগ প্রতিষ্ঠার জন্য উপযুক্ত একটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিল্প নতুন জেলায় পরিণত হয়েছে। ৱ
তিনি আরও বলেন, ‘নতুন এলাকা নির্মিত হয় ২০০৮ সালে। তখন এটা ছিল একটি ছোট গ্রাম। আসলে ২০১২ সালে নতুন এলাকা মোটামুটি নির্মিত হয়ে যায়। আমরা ছোট গ্রামটিকে একটি আধুনিক নগরে রূপান্তরিত করেছি।’
থিয়ানচিন পিনহাই নতুন এলাকার চংকুয়ানছুন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এলাকা চালু হওয়ার পর তিন বছর গত হয়েছে। তিন বছর ধরে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এলাকাটি নতুনত্ব ও বাজারের সঙ্গে আরও সংগতিপূর্ণ উন্নয়নের কাঠামো অনুসন্ধান করে আসছে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এলাকায় উদ্যোক্তাদের উদ্ভাবন খাতে বিনিয়োগ করতে উত্সাহিত করা হয়। এ সম্পর্কে ওয়াং স্যিয়াও ওয়েই বলেন, ‘আমরা অব্যাহতভাবে অবকাঠামো ব্যবস্থা উন্নয়ন করছি। এলাকায় ক্রীড়া ও সংস্কৃতির কেন্দ্র রয়েছে। এলাকায় বিনোদনের জায়গা রয়েছে। এ ছাড়াও, এলাকায় থাকার ব্যবস্থা আছে। দাম বাজার মূল্যের চেয়ে কম। রেস্তোরাঁও রয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আমরা বিদ্যালয় ও কিন্ডারগার্ডন নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি।’