বাংলা

লাসা নদী (৩)

CMGPublished: 2023-10-06 14:25:39
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

এ অনুষ্ঠানে আমরা পালাক্রমে সিনচিয়াং ও তিব্বতসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করে থাকি। আশা করি, এর মাধ্যমে শ্রোতারা চীনের সুন্দর সিনচিয়াং ও সুন্দর তিব্বত সম্পর্কে আরও ভালো ধারণা পাচ্ছেন। তাহলে দেরি না করে শুরু করি আমাদের আজকের অনুষ্ঠান। আজকে আমরা তিব্বত নিয়ে কথা বলব।

জলবিদ্যুত উন্নয়ন

Straight hole নামক জলবিদ্যুত্কেন্দ্রটি লাসা শহর থেকে ৯৬ কিলোমিটার দূরে এবং সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৩৯০০ মিটার উপরে ‘মোচুকুংখা’ জেলায় লাসা নদীর মধ্য ও নিম্ন প্রান্তের সংযোগস্থলে অবস্থিত। পাওয়ার স্টেশনটি চারটি উল্লম্ব-অক্ষ ফ্রান্সিস টারবাইন জেনারেটর ইউনিট দিয়ে সজ্জিত, যার মোট ইনস্টল ক্ষমতা ১ লাখ কিলোওয়াট-ঘণ্টা এবং এটি বার্ষিক গড়ে ৪০.৭ কোটি কিলোওয়াট-ঘণ্টা বিদ্যুত উত্পাদনে সক্ষম। জলবিদ্যুতকেন্দ্রে একটি কংক্রিটের বাঁধ, একটি মাটি-পাথরের বাঁধ, একটি জল বাড়ানোর ব্যবস্থা, এবং তীরের পাশে একটি পাওয়ার হাউস রয়েছে।

কেন্দ্রের জলাধারের স্বাভাবিক জল সঞ্চয়ের স্তর হল ৩৮৮৮ মিটার। এর জলধারণ ক্ষমতা ২২.৪ কোটি ঘনমিটার এবং এর নিয়ন্ত্রিত স্টোরেজ ক্ষমতা ১০.৭ কোটি ঘনমিটার। কেন্দ্রের প্রাথমিক কাজ ১৬ বছর আগে শেষ হয়। রাষ্ট্রীয় পরিষদের অনুমোদনক্রমে, ২০০২ সালের নভেম্বরে জাতীয় উন্নয়ন পরিকল্পনা কমিটি প্রকল্প অনুমোদন করে। ২০০৩ সালের এপ্রিলে এর নির্মাণকাজ শুরু হয়। প্রকল্পের মোট ব্যয় হয়েছে ১৩৩.৬৯৫ (বিলিয়ন বা কোটি?) ইউয়ান, যার মধ্যে ৮০ শতাংশ অর্থ হচ্ছে দেশের বরাদ্দ এবং ২০ শতাংশ অর্থ হচ্ছে তিব্বতের বিদ্যুত্ কোম্পানির ঋণ।

জলবিদ্যুতকেন্দ্রটি হচ্ছে তিব্বতের ‘দশম পাঁচসালা পরিকল্পনা’ বাস্তবায়নকালে দেশের গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পগুলোর মধ্যে অন্যতম। এটি তিব্বতে সর্বোচ্চ জলবিদ্যুত প্রকল্প। এই প্রকল্প চালুর পর তিব্বতের মধ্যাঞ্চলের বিদ্যুতের সংকট দূর হয়েছে। এটি তিব্বতের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাও রেখেছে ও রাখছে।

12全文 2 下一页

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn