‘ফুটবল অন দ্য রুফ’: গ্রামীণ মেয়েদের ফুটবল স্বপ্ন

‘ফুটবল অন দ্য রুফ’ মুভিটি হল তরুণ পরিচালক ফেই ইয়ু’র প্রথম ছবি, ফিল্মটিতে ইউনান গ্রামীণ মেয়েদের মতো যারা ‘যতই কঠিন হোক না কেন তাদের স্বপ্নকে অনুসরণ করে চলেছেন,’ ফেই ইয়ু’র ছবি তোলার প্রস্তুতিও অসুবিধাগুলো কাটিয়ে উঠতে অধ্যবসায় পূর্ণ ছিল। ফেই ইয়ু স্মরণ করেছেন যে, চিত্রগ্রহণের শুরুতে তিনি প্রযোজনা এবং বিতরণে একাধিক সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিলেন। ‘ফুটবল অন দ্য রুফ’ মুভি একটি ছোট-বাজেটের চলচ্চিত্র। একজন পরিচালক হিসাবে, আমি সবচে বেশি যা বিবেচনা করি তা হল প্রযোজনায় বাজেট। ফেই ইয়ু তিন বছরে ইউননানের ৯০ শতাংশ গ্রাম পরিদর্শন করেন। জীবন এবং ভবিষ্যতের প্রতি ইউননানের গ্রামীণ জনগণের ভালোবাসা এবং প্রত্যাশা অনুভব করেছিলেন তিনি, যা সমস্ত ছবিতে প্রতিফলিত হয়েছে। লুসি জেলার প্রাচীন গ্রামে ছাদে ভুট্টা শুকানোর দৃশ্য দেখে তিনি খুব আপ্লুত হয়েছিলেন, যদিও অনেক গ্রামবাসী নতুন গ্রামে চলে গেছেন, তবুও এটি এখনও সমৃদ্ধ আমেজ দেখায়। তিনি পুরানো গ্রামগুলোর ভাবমূর্তি রেকর্ড করতে আগ্রহী। ফেই ইয়ু বলেন, ‘মুভি শুটিং করার জন্য ইউননান এবং লুসি জেলার প্রাসঙ্গিক বিভাগগুলোর সহায়তায়, আমরা ছেংচি প্রাচীন গ্রামগুলোকে সামঞ্জস্যপূর্ণ করেছি। ফিল্মটিতে ‘ইউননানের মানুষ, পাহাড় ও নদী এবং প্রাকৃতিক গ্রামগুলোর সুন্দর দৃশ্য প্রাণবন্তভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়। ফেই ইয়ু বলেন, এটি সিনেমা হলে মুক্তির আগে ২০২৩ সালের কান চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হয়েছে। এটি দেখে অতিথিরা অবাক হয়ে তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘মুভি’র দৃশ্যগুলো সিজি স্পেশাল ইফেক্ট দিয়ে তৈরি করা হয়েছে কি? তিনি গর্বিতভাবে উত্তর দিয়েছিলেন, ‘না, এটি চীনের ইউননানের আসল সৌন্দর্য।’ ‘ফুটবল অন দ্য রুফ’ মুভি থেকে শুরু করে ফেই ইয়ু বলেন, তিনি ভবিষ্যতে আরও থিম এবং নতুন বিষয় অন্বেষণ করবেন। তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি ভবিষ্যতে সিনেমা তৈরি করতে ইউননানে আসতে থাকব, এখানে অনেক দুর্দান্ত থিম রয়েছে এবং আমি বিশ্বকে ইউননানের গল্প বলতে চাই।’
