চীনে প্রবেশের ৩০ বছর পর হলিউড মুভির আকর্ষণ কেন হ্রাস পাচ্ছে?
বছরের পর বছর ধরে হলিউডের চলচ্চিত্রগুলো ফর্মুল্যাক এবং ম্যাট্রিওশকা-এর মতো আইপি ডেভেলপমেন্টে আচ্ছন্ন হয়েছে এবং উদ্ভাবনী জীবনীশক্তি এবং কল্পনার সাথে মূল চলচ্চিত্রগুলোর একটি গুরুতর ঘাটতি রয়েছে। ২০২৩ সালে চীনে প্রবেশকারী হলিউডি চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে ‘ফাস্ট অ্যান্ড ফিউরিয়াস ১০’ বক্স অফিসের সর্বোচ্চ র্যাঙ্কিং, ১২তম স্থান লাভ করে। সেইসাথে ‘অবতার: জলের পথ’, ‘ট্রান্সফরমারস: রাইজ অফ দ্য সুপার ওয়ারিয়র্স’ এবং ‘গার্ডিয়ানস অফ দ্য গার্ডিয়ানস ভলিউম ৩’ চীনের বক্স অফিস র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষ ৩০টিতে ছিলো। ২০২৪ সালে চীনে প্রবেশ করা চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘গডজিলা বনাম কং ২: রাইজ অফ এন এম্পায়ার’, ‘ডেডপোল অ্যান্ড ওয়ালভেরিনে’, ‘ডেস্পিক্যাপল মি’ ইত্যাদি। এসব চলচ্চিত্র মোটামুটিভাবে সিক্যুয়াল হিসেবে শ্রেণীবদ্ধ করা যেতে পারে, যা দিয়ে দর্শকদের সতেজতা এবং উত্সাহকে উদ্দীপিত করা কঠিন।
এনবিসি ফাইন্যান্সিয়াল চ্যানেল উল্লেখ করেছে যে, চীনা দর্শকেরা স্টাইলাইজড হলিউডি চলচ্চিত্রের বর্ণনায় ক্রমশ ক্লান্ত হয়ে পড়েছে বলে মনে হচ্ছে। হলিউড ইন্ডাস্ট্রি ম্যাগাজিন ‘বৈচিত্র্য’ মনে করে, চীনে হলিউড তার আগের সমৃদ্ধির পুনরাবৃত্তি করতে পারছে না। পুরানো মুভি’র ধারাবাহিকতা এবং বীর থিমযুক্ত মুভিগুলো চীনের বাজার নেতৃত্ব দিতে চাইলে তা খুব কঠিন হবে।
হলিউড চলচ্চিত্রের আকর্ষণ হ্রাসের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হল চীনের স্থানীয় চলচ্চিত্র শিল্পের দ্রুত বিকাশে সৃষ্ট প্রতিদ্বন্দ্বিতা।
আমরা বলতে পারি, ১৯৯৪ সালে ‘দ্য ফিউজিটিভ’ মুভির কারণে চীনা চলচ্চিত্র আত্মনির্ভরশীলতা এবং চলচ্চিত্র শিল্পায়নের দ্রুত বিকাশের পথে যাত্রা করতে বাধ্য হয়। ৩০ বছরের সাধনায়, চীনা চলচ্চিত্র শিল্প অবশেষে অগ্রগতি হয়েছে, শুধুমাত্র চলচ্চিত্র বিষয়বস্তু এবং নির্মাণ স্তরের ক্ষেত্রেই নয়, বরং বিভিন্ন ধরনের চলচ্চিত্রে দুর্দান্ত অগ্রগতি করেছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, কার্টুন, অ্যাকশন মুভি, সাসপেন্স মুভি এবং সায়েন্স ফিকশন মুভিসহ বিভিন্ন থিমযুক্ত মুভিগুলো জনপ্রিয় হচ্ছে।