প্রতিবন্ধী দাবাড়ু সিয়ে হাইথাও
ওয়াং ইউ হুই বলেন, “হাইথাও একজন সৈনিকের মতো। এমনকি যদি সে দাবার গুঁটি ধরতেও না পারে, যতক্ষণ সে ভাবতে পারে, সে দাবা ভাবনায় দাবাই খেলতে থাকবে। আমি যখন অসুবিধায় পড়ি, তখনও হাইথাওকে নিয়ে ভাবি। আমার অসুবিধার মানে কী? আমি প্রায়ই বলি যে, হাইথাও আমার আদর্শ ও আমার শিক্ষক। এটি কোনও ভদ্র শব্দ নয়। গত ১২ বছরে আমি সত্যিই তার কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছি।”
২০১৭ সালে হাইথাওয়ের অসুস্থতা ধীরে ধীরে খারাপ হতে থাকে, যার ফলে তিনি দাবার গুঁটি ধরার শক্তিও হারিয়ে ফেলেন এবং সেগুলো রাখতে অন্যদের সাহায্যের প্রয়োজন হয় তার। শ্বাসকষ্ট ও পিঠে ব্যথা সাধারণ ব্যাপার।
শারীরিক অবস্থার অবনতি এই তরুণকে পরাজিত করতে পারেনি। হাইথাওয়ের কাছে গর্বের ব্যাপার হলো ১৮ বছর বয়সে তিনি অনলাইনে দাবা পাঠের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো টাকা উপার্জন করেন।
এ প্রসঙ্গে হাইথাও বলেন, “নিজের ওপর নির্ভর করে বেঁচে থাকতে পারছি, এতে পরিবারের সবাই খুব খুশি। ছোটবেলা থেকেই তারা চিন্তিত যে, ভবিষ্যতে আমি কীভাবে বেঁচে থাকবো। এখন আমার চাকরি আছে এবং শিক্ষকতা একটি সম্মানিত পেশা।”