আলিপে’র দক্ষিণ আফ্রিকান সংস্করণ
২০২৩ সাল হলো যৌথভাবে ‘এক অঞ্চল এক পথ’ উদ্যোগ উত্থাপনের দশম বার্ষিকী। উন্নয়নশীল দেশগুলোর সঙ্গে যৌথভাবে ‘এক অঞ্চল এক পথ’ নির্মাণের প্রক্রিয়ায় চীনা শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর অংশগ্রহণে ‘ক্ষুদ্র তবে সুন্দর’ প্রকল্পগুলো স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য কল্যাণ বয়ে এনেছে এবং তাদের মধ্যে খুব জনপ্রিয় হয়েছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দক্ষিণ আফ্রিকায় ইন্টারনেট ও স্মার্টফোনের ব্যবহারের হার দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং দক্ষিণ আফ্রিকার আর্থিক প্রযুক্তিরও উন্নয়ন হচ্ছে। চীনা কোম্পানির উদ্যোগে তৈরি একটি ‘সুপার মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন’ ডিজিটাল আন্তঃসংযোগে সুবিধা দেওয়া ছাড়াও, আফ্রিকাতে বিদ্যমান ‘ডিজিটাল বিভাজন’ কমিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছে।
খাইয়া এমবালেকওয়া দক্ষিণ আফ্রিকার একজন সাধারণ বাসিন্দা। তিনি বলেন,
“ভোডাপে বয়ে আনা সুবিধা আমি খুব পছন্দ করি। এর কারণে আমাকে দৈনন্দিন কাজের জন্য দীর্ঘ লাইনে অপেক্ষা করতে হয় না বা ভিড়ের মধ্যে বসে থাকতে হয় না। এই অ্যাপটির সাহায্যে আমি সব ধরনের কাজ করতে পারি। অনলাইনে কেনাকাটা করা, আমার বিল পরিশোধ করা এবং দক্ষিণ আফ্রিকাজুড়ে বন্ধুবান্ধব ও আত্মীয়স্বজনের কাছে টাকা পাঠানো - আমি বাড়ি থেকে এসব কাজ করতে পারি। তাই এটি আমার জন্য সত্যিই খুব আকর্ষণীয় একটি মোবাইল অ্যাপ এবং এই বৈশিষ্ট্যগুলোর কারণে আমি প্রতিদিন এটি ব্যবহার করি।”
২০২১ সালের অক্টোবর মাসে দক্ষিণ আফ্রিকার টেলিকমিউনিকেশন জায়ান্ট ভোডাকম গ্রুপ দক্ষিণ আফ্রিকার স্থানীয় ই-ওয়ালেট ভোডাপে চালু করে, যেটি জন্মের পর থেকেই একটি ‘সুপার অ্যাপ্লিকেশন’। পেমেন্ট, ট্রান্সফার ও রিচার্জের মতো মৌলিক ফাংশনগুলো ছাড়াও, ব্যবহারকারীরা শতাধিক মিনি প্রোগ্রামের মাধ্যমে ক্ষুদ্র ঋণ গ্রহণ, কেনাকাটা, খাবার অর্ডার, হোটেল বুক এবং এয়ার টিকিট কিনতে পারে। যেহেতু দক্ষিণ আফ্রিকার স্থানীয় ব্যবহারকারীদের বেশিরভাগ স্মার্টফোনের স্টোরেজ স্পেস সীমিত, তাই এই ‘সুপার অ্যাপ্লিকেশন’ সেখানকার ব্যবহারকারীদের মধ্যে অনেক জনপ্রিয় হচ্ছে। ২০২২ সালে ভোডাপে ব্যবহারকারীদের সংখ্যা ১৭০ শতাংশ বৃদ্ধি পায়, নিবন্ধিত ব্যবহারকারীদের সংখ্যা ২৭ লাখে পৌঁছায় এবং অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোডের সংখ্যা ৪৫ লাখ ছাড়িয়ে যায়।